ধরার এই আপন বুকে
প্রভাত রবির আলো ফোটে,
ঝিলিক মারে পিলিক হাসে নিত্যলীলা সর্বনাশে।
ওরে ধর অসুর দানা
ধ্বংস কর ষোল আনা
যে জন দেশের মান বুঝে না,নিত্য ভাসায় বিষাদবাসে।
ওরে যে বলে আমি রাজা
অন্যায় করে ঢোল বাজা,
তারে ধর দে'রে সাজা, মন্ত্রীর ব্যাটা বড় ঘ্যাচাং গাজা
নে'রে নে শোধনগারে
মানব জনম সারে সারে
বুঝা তারে হাঁড়ে হাঁড়ে কত প্রেম এই সংসারে,অন্যায় যে ক্ষারভাজা।
দেখরে কালো মেঘ জমেছে,
সন্ত্রাসীরা সং সেজেছে ,
মাতৃমন্ত্রীর ছায়াতলে,অসহায় মানুষের ঐ লাল জলে,
কিসের বলে আগুন জ্বলে
ভাসে মানুষ আজ গঙ্গাজলে,
এই কোন মেলা মধুমালা,হরণ করলো সতীর বেলা,খেলার ছলে?
ঘৃণার কামান দাগরে তাদের
অমরত্বের লোভ যাদের
স্বদেশভূমি স্বাধীন তুমি কেন এত নীরব চুমি বঙ্গকানন,
তোমার বুকে যাদের ক্ষত
হে ভগবান বিচার শত,
চাঁদের হাঁটের আলো জালাও স্বপ্নপুরে ,কেন এই রক্তক্ষরণ?
নে রে নে হাল তুলে নে গভীর গাঙ্গে
জনারণ্যে যেজন সুখের বাঁধ ভাঙ্গে
তুলে ফেল তার হাঁড়ের খাতা,লবন ছিঁটা লাল মরিচ বাটা,
সোনার বাংলায় রং সাজা
স্বাধীন দেশের আমি প্রজা ,
দূঃখ সুখে সংসার সাজা বঙ্গকানন সুখের আটা।
রচনাকাল
২৬।১০।২০১৪
ইউ এ ই ।