ভাঙ্গা চালা মনে বড় জ্বালা ঐ যে বুড়ির গাঁ,
পরনে তাঁর শতকে তালি নরম মুখের ঘা।
ঘা মুখে কষ্টের হাসি ফুঁকে দুঃখে চোখে জল,
জলের কূলে ও কেউ নেই তাঁর ছেঁড়া আঁচল।
আঁচলে তাঁর মুখ মুছে বৃদ্ধার শরীরখানি খোলা,
খোলা চুলে যৌবনে মধু দিল পুরুষের দোলা।
দোলনায় দুলেছিলো কত শত পুরুষের কোলে,
কোলে তুলে টাকা দিতো,অভাবের সংসার চলে।
চলছিলো বাবা ছাড়া মা,ভাই বোন,ছোট্ট এক ঘর,
ঘর আজ সেই যে শূন্য ভিটা সবায় করলো পর।
পর ভেবে দূরে ঠেলে দিলো আপন ছোট ভাই,
ভাইয়ের কাছে এই বয়সে ছাইলো একটু ঠাঁই।
ঠাঁই সেতো দূরের কথা কত করলো অপমান,
অপমানে জ্বালা সেতো বিভীষিকা কষ্ট বহমান।
বহমান নদী কষ্টে কাঁদে আকাশ বাতাস জল,
জল দিলেও নিভেনা কষ্টআগুন জীবন অস্তচল।
অস্তচলে দাঁড়িয়ে বুড়ি ভাবছে কি করেছে ভুল,
ভুল করে ও ভাবেনি কভু ফোটাবে বিয়ের ফুল।
ফুলের মত সাজিয়ে দিলো ভাইয়ের জন্য ঘর,
ঘরে নতুন বধু এলো বুড়িকে করলো আজ পর।
রচনাকাল
২১।১০।২০১৪
ইউ এ ই ।একটি জীবনমুখী কবিতা ।