মিথিলা'র পাবনায় বাড়ি ,এলো বাবা মাকে ছাড়ি
স্বপ্নের সিঁড়িতে ঢাকায় রঙ্গিন ভূবন,
ডাক্তার হবে মহেন্দ্রক্ষণে অপেক্ষায়
উন্মুখ চেয়ে আছে বাবা মা সকল আত্নীয় সজন।
পড়ায় ব্যস্ত মিথিলা লেগে আছে সদা অধ্যাবসায়
বাবা-মায়ের স্বপ্নের এক এক অনু,
লক্ষ্য তার জীবন সংগ্রামে যুদ্ধের
একদা জীবনের মোর ঘুরিয়ে দিলো এক তীরধনু।
অচেনা মুঠোফোনে দারুণ কথার ফাঁদে পড়ে গেলো
মিথিলার আবেগ তাড়িত মন,
যৌবন-চাঞ্চল্য ঘিরে ধরে তাকে
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় পোয়ালো সুখক্ষণ ।
হৃদয় ভরে আছে তার ভিন্ন জগত, প্রেমিকের মনে
ভেসে ভেসে বেড়ায় সারাক্ষণ,
বাড়ি থেকে টেনে আনে অসীম
টাকার উপর টাকা মিথ্যে অজুহাতে প্রেম আবরন।
সব টাকা তুলে দেয় প্রেমিকের হাতে সরলতায়
যে প্রেমে ছিলো না কোন খাঁদ,
কে জানতো প্রেমিক সেজে
হাতিয়ে নিবে তার আপন সম্ভ্রম ভালোবাসায় ফাঁদ।
মিথিলা আজ তিন মাসের অন্তসত্ত্বা ভালোবাসার ঘরে
প্রেমিককে দিলো খুশির খবর,
কথা শুনে প্রেমিক খুব চমকে
উঠে রাগে ক্রোধে অপমানে প্রেম দিয়ে গেলো কবর।
হেরে গেছে আজ মিথিলা বাবা মায়ের স্বপ্নের কাছে,
অদ্ভুত আঁধার চোখে মুখে,
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ ব্যর্থ আজ
কেঁদে যাচ্ছে নয়ন জলে মিথিলা নিদারুণ ভুলের দুঃখে।
বড্ড অপমানে কষ্টের তীব্রতায় সর্বহারা মিথিলার মন
আজ ভাঙ্গা ঢেউয়ের স্রোত,
তুলে নিলো এক পেয়ালা বিষ
মুখে, নিমিষেয় নিথর হয়ে গেলো ডাক্তার হবার ব্রত।
হে মিথিলারা অঙ্গের বাঁধনে বাঁধাপড়া ভালোবাসায়
তা নয় তো কোন কঠিন পাপ,
সময়ের কাজ সময়ে করো
অসময়ে সমুদ্রে ডিঙ্গা ভাসিয়ে পরে করো না অনুতাপ।
রচনাকাল
১৩।০৮।২০১৪
ইউ এ ই ।
বিঃদ্রঃ-অনুরোধ থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য । এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।ঘটনা টি ঘটেছে পাবনার মেয়ে মিথিলার জীবনে । যা আমাদের কাম্য নয় । ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।