মাষ্টার মশায় বসিয়া রহিয়াছেন চেয়ার পাতিয়া
চক্ষু দুটি এলোমেলো,
শ্রেণী কক্ষে বসিয়া পাঠ্যে মনোযোগী তে ব্যস্ত
রূপসিনী বালিকা চঞ্চলো।
চশমা উপুড় করিয়া চেঁচিয়া কহিলেন হে বালিকা
দেখিতেছি তোমার দুষ্টামী,
বিদ্যাপাঠে ধ্যান দাও যতন করিয়া গাঢ় মনাঙ্গে
পড়ুয়া ছাত্রীরা সঙ্গিনী।
বালিকা যৌবনে পা ফেলিয়াছে বছর খানেক হইল
অপরূপ নীলাম্বরী পরী,
সারা দেহে খেলিতেছে মুগ্ধপ্রাণ রূপের রসদ ঢেউ
ক্ষীরের প্রসরা ছড়াছড়ি।
দোপাট্টাহীন বক্ষে ক্রর চাউনি মাষ্টার মশায়ের চক্ষু
বালিকার শ্রদ্ধায় মন,
আদর করিয়া কাছে ডাকিলেন মধুর স্বর তুলিয়া
হাত ধরিলেন ক্ষণ।
বাহানা সাজাইয়া ডাকিয়া কহিলেন ও হে বালিকা
আনিবে পেয়ালা জল?
বালিকা চঞ্চল মনে হাঁটিয়া গেলো অফিস কক্ষে
মাষ্টারের চক্ষু ছলছল।
পিছু হাঁটিলেন অফিস কক্ষের পানে মাষ্টার মশায়
দরজায় খিলি এঁটে,
বালিকা চকিত নয়নে বিস্মিত হইয়া গেলো তক্ষনাৎ
কান্নায় বুক ফাটে।
বিবেক আজি স্তব্ধ যেন জ্যোতিচিহ্ন ঘেরা অমবস্যায়
উদগ্র মনোভাবের ফসল,
বালিকা ধুলায় লুটিয়া পড়িয়া আছে অগোছালো বস্ত্রে
অঙ্গদে যেন নিঃশ্চল।
জনখল ধনবল খাঁটাইয়া মাষ্টার মশায় পার পাইয়া গেল
সমাজ গঠন ব্যাবস্থায়,
আর কত কাঁদিবে দুর্বলের মন অনাদরে অনিয়মের বলি
অমানুষ মাষ্টার মশায়।
রচনাকাল
১৪।০৯।২০১৪
ইউ এ ই ।