যৌবনে রঙিন আলোয় চঞ্চলতায়
লোমিয়ার সারা ক্ষণ,
যেমনি রূপে রূপসিনী অঙ্গদে তার
সৌখিন ছবিতে মন ।
নিজের শরীরের কোমলতায় দেখে
মনে অনেক স্বপন,
নিজে'কে সে মডেল রূপে সাজায়
ছবির আগ্রহ যতন।
দিনের পর দিন আপলোড করছে
প্রিয় নেট ফেইসবুকে
নানান ঢং এ নিজেকে দেখাতে চায়
অনলাইনে সব দিকে।
একদা অচেনা লোকের আবেদনে
আগ্রহে দিল সাড়া,
লোকটা পেশাদার ফটোগ্রাফার বলে
মনে দিল নাড়া।
লোমিয়া দিনের পর দিন ব্যস্ত থাকে
চ্যাটিং এ ভাব বিনিময়,
হরেক রকম স্বপ্ন দেখায় মন শিবিরে
মিডিয়াতে করবে অভিনয়।
কথার বাঁকে চ্যাটিং এর ফাঁকে স্থির হল
মিলিত হবে দু'জন।
হরেক রকম কথার ঢেউয়ের ভিড়ে খুব
গভীর বন্ধু সুজন।
বিশ্বাসের সিঁড়িতে পা রেখে লোমিয়া
এগিয়ে যায় বহুদূরে,
এক সন্ধ্যায় সুজন আবাদার করে বসল
গল্প করবে রাতভরে।
লোমিয়া মন রক্ষার খাতিরে অনিচ্ছায়
কাটালো সারা রাত,
আগুনের আলো মোমের শরীরে পরশ
হলো রোমান্স প্রভাত।
দিন গড়াতেই হঠাত একদিন সন্ধ্যাবেলা
আপেত্তিকর ছবির ভিড়,
তার ইনবক্সে জমা হলো অশ্লিলতায় ভরা
লোমিয়ার বক্ষ চৌচির।
যোগাযোগ করলে প্রিয় সুজনের সাথে
সে অন্যেকে দোষে,
টাকার বিনিময়ে সমাধান পাবে শীগ্রই
লোমিয়ার বক্ষ রোষে।
লোমিয়া নিজের যত গহনা ছিলো সব
বিক্রিত অনেক টাকা,
তুলে দিলো সব সুজনের হাতে গোপনে
সমাধান চায় পাকা।
কিন্তু বিধি বামে মোড় নিলো টাকা নিয়ে
সুজন এখন অচেনা,
ছড়িয়ে দিলো অনলাইনে আনাচে কানাচে
কলংকিত অধ্যায় রচনা।
তা দেখে লোমিয়া পথ বেছে নিলো সহসা
জীবনের ফাঁদে মরণ,
ঝাপ দিলো ব্রীজ থেকে রাস্তার উপরে ভেদে
চৌদিকে বহমান রক্তক্ষরণ।
প্রাণ দিয়ে বেঁচে গেলো কলংকের দ্বার থেকে
লোমিয়ারা করোনা ভুল,
ভার্চুয়াল আর বাস্তবতা ভিন্ন জিনিস মনে রেখ
ভেঙ্গোনা নদীর কূল ।
রচনাকাল
০৯।০৯।২০১৪
ইউ এ ই।
বিঃদ্রঃ-অনুরোধ থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য । এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।