ওহে চন্দ্রলতা তোমার রূপের প্রতুলতা
আমায় করিয়াছে সর্বসুখে সর্বৈশ্বর্যময়,
আমি ঘুরিয়াছি দেশ দেশান্তরে বিঁভুয়ে
তোমারি মত রূপ পাইনি আলোকময়।
তোমারি চক্ষু চাউনি করিয়াছে যাযাবর
শুভ্র আলোর চন্দ্রের আভায় চঞ্চল মন,
তোমার ভ্রু এর পাড়ে আমায় রাখিতাম
আজি পড়িতেছে মনে সেই মধুময় ক্ষণ।
চেনা পায়ের মলে ঝুমুর গর্জনে কম্পিত
নিরবধি মনের আনাচে কানাচে বহমান,
নূপুরের ক্রন্দন আমার আঁখি ভাসিতেছে
নিদ্রা পরী হইয়া হানা দাও মন মহুয়ান।
তোমার নিটোল বুকে ঘন নিশ্বাসের ছাপ
আজো ভাসিতেছে আমার চক্ষু আলোতে,
মধুকর মউচাকের উচু পাহাড় বক্ষ ভরা
রসালো অধরের ছবি আঁকিতেছি তুলিতে।
ছুটিতেছি সদা জীবিকার প্রয়োজনে নিঃসঙ্গ
কাননে ফোটা ফুল চাহিয়া আছে পথপানে
কখন ভোমর আসিবে মধু আহরণে নীরবে
ভাসাইবে দেহ'তে সুখের ভেলা সঙ্গোপনে।
গীটার সুরের নন্দিত ছন্দ বাজে উষ্ণতায়
আজ ও ভাসাইয়া লইয়া যাই সেই সুখে,
আলো আঁধারে ঘেরা যৌবন বক্ষ স্রোতে
আজো একাকী কাটাইতেছি সদা মহাদুঃখে।
রচনাকাল
০১।৯।২০১৪
ইউ এ ই।