কোন এক প্রভাতের আলোয়
বধূ আমায় ডাকিয়া কহিলো,
বাহিরে আলো মেলা বসিয়াছে
দ্রুত বাজারে যাইতে বলিলো।
নেশাঘুম চোখে তাহারে তাকাই
বিরক্ত মনে লাভা যে আক্রমণ,
তাহার কোমল চাউনি অনুরাগে
ভালোবাসা করিলো সংক্রমণ।
ভেজা চুলের গন্ধ সুবাসে ভরা
আঁখি গোধূলির গোলাপী রঙিন,
আমি দেখিতেছি তাহার স্বরুপ
অসীম রূপেরা সীমাহীন সঙ্গিন।
স্বপনের কুঁড়ি বাঁধিয়াছে যতনে
চাঁদ সুরুজের আলো ফেলিয়া
আমি তাহারে করিতে চাই সুখী
সোহাগে ভালোবাসায় ভরাইয়া।
আমায় উদাস দেখিয়া কহিলো
কিহে মহাশয় হারাইলা কোথায়?
চকিত নয়নে সম্ভিত ফিরিয়া
দুষ্টামীতে এই দুষ্টবালক সেথায়।
আঁচল খানি টানিয়া ধরিলাম ক্ষণ
কালোচুলে খসিয়া গিয়াছে খোঁপা,
টবঝরা জলে ঘাড় ভিজিয়াছে যেন
মণিদীপ- চাঁদ রূপ উজ্জ্বল ভাঁপা।
তাহার পায়ের পায়েলের ঝংকারে
আমায় করিয়া তোলে সদা উন্মাদ,
তাহার চলনে খুঁজি পৃথিবীর উষা
ভালোবাসায় জড়ানো লোভী স্বাদ।
রচনাকাল
২৭।০৮।২০১৪
ইউ এই ই ।