আজ নিশি কুঞ্জে তোমার দর্শন লাভে
মনের বৃন্দাবনে স্বপ্ন ছিলো বড়ই মধুর,
নদীর জলে স্নান করছি স্নিগ্ধতা খুঁজে
নববসন্তের প্রভাতে হারালাম বহুদূর।
এলোমেলো ভেজাচুল তোমার কপালে
দূর্বাজলে পৃথিবীর মায়া নক্ষত্রের আলো,
আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে রই সে উজ্জ্বলতায়
শুভ্রতা উষ্ণতায়,মন করে গেলো ভালো।
ভিগিভিগি বসনে অবাক নয়নের রশ্নিতে
চঞ্চল উন্মাদনায় দেখি তোমার যৌবন,
লালাভ অধরে বেশ নেশায় মেতেছে যেন
প্রজাপতির পাখায় সুরমা মাখা সাত রঙ।
দেবদারু-দ্বীপে তোমার আমার বসত ঘর
ভালোবাসায় সাজানো পরিপাটি সংসার,
সর্পিল প্রাণ খোলা সুখে ভাসি আমেজে
সংস্পর্শের বানে সৃষ্টি সুখের মন দরবার।
স্পর্শের সুখ তোমায় অনুভব করি নির্জনে
তোমার দেহ কাঁপছে শীতলপরশে ঠকঠক,
রঙ্গিন করে যায় মন মানবী মানসী রূপে
ভেজা শরীরে চন্দন সুবাসিত তোমার ত্বক।
তুমি হাত বাড়িয়ে দিলে বাহুডোরে বাঁধতে
মন রাঙ্গানো সুখে আমি ও বাড়ালাম হাত,
কলাপাতা রঙ্গের কাপড়ের ভেজা আহবান
ধূর ছাই!ভাঙ্গলো কেন স্বপ্নটা রাঙ্গাপ্রভাত।
রচনাকাল
২৫।০৮।২০১৪
ইউ এ ই।