গভীর শিহরণে কাঁপে এই বুক খানি,
ভালোবাসায় সাজাবো চন্দ্রতলে ঘর,
মনের বারেন্দায় লাগাবো ফুলের
বাগান কিন্তু ছেড়ে গিয়ে করলি পর।
ঊষার সোনামুখ তোর রতনে মাখা
উজ্জ্বল যতনে ভালোবেসেছি তোরে,
আজো মনে পরে যে দিন তোকে বধূ
সাজিয়ে বিয়ে করে আনি আমার ঘরে।
চাঁদবদন তোর কোমল শ্যামা অঙ্গখানি,
তারায় ঝিলিক ঝিলিক করেছিল কক্ষ,
আমাকে কাছে টেনে নিলি বন্ধন সূত্রে
ভালোবাসার পরশে ভরালি তোর বক্ষ।
পঙ্খীর লাল শাড়ির আঁচল দিয়ে যখন
মুছিয়ে দিলি আমার পরিশ্রান্ত কপালখানি,
মৌ মৌ করেছিলো তোর প্রথম প্রেমের
ছোঁয়া অন্তর জুড়ে উষ্ণ শীতল পরশমনি।
সেই ভালোবাসার ফসল ঘরে চাঁদ হাসলো
তিন জনের পরিপাটি ছিলো মধুর সংসার,
হঠাৎ অচেনা ঝড়ে চুরমার করে গেলি সব,
মানব জীবন করে হয়ে গেলো যেন অসাড়।
আমারি না হয় কিছু ভুল ছিলো জীবন নদী
স্রোতে ফুলকার আগুনে ভুলেভরা কিছু সময়,
তুমি-ই তো পারতে আমায় খেয়ালে আনতে
বুজিয়ে গুছিয়ে,চেষ্টা করেছ খুব একটা কম'ই।
প্রতিশোধের অনলে পুড়িয়ে তুমি চলে গেলে
অন্য বাঁধনে, কত শত জমাট রাগ অভিমানে
বুঝতে পারলাম জীবনের সীমারেখাপথ ক্ষীণ
তুমি হীনা খোকা নিয়ে প্রিয়া জীবন সন্ধিক্ষণে।
রচনাকাল
৮।০৮।২০১৪
ইউ এ ই।