প্রমা অফিসের দিকে ছুটছে তাড়াতাড়ি
অস্থির মনে মলিন চেহারা খানি চেপে,
বড়বাবু নিশ্চয় খুব আছেন ক্ষেপে অগ্নি
তেলে, দুরু দুরু বুক টা যায় যে কেঁপে।
গতকাল বকেছেন আম্র স্বাদে'র স্বরে
নোংরা ছটায়, চোখে ইশারায় উপদেশ
ভালো লাগেনা বড়বাবু'র এমন আচরন
জীবিকার খাতিরে প্রমা বলছে তবু বেশ।
প্রমা'র ইচ্ছা করে ছুঁড়ে দেয় সব ফাইল
পত্র বড়বাবু'র অসভ্য চাউনি ভরা মুখে,
আবার সংসারে'র দিকে তাকিয়ে কেবল
নিঃশ্বাস ফেলে,বাবা মূর্ছা যাওয়া দেখে।
বিছানায় পড়ে আছে বাবা দিন কতেক
ধরে,প্রমা বড় সংসার তুলে নিলো কাঁধে,
যেখানেই যায় চাকুরি'র খোঁজে অবলা
রূপসী প্রমা'কে সবায় অন্য চোখে বাঁধে।
পরিশেষে এই বড়বাবু দিলেন চাকুরি
খানি,অনেক ভালো মাইনে দিবেন বলে,
অফিসের কাজ রেখে গল্পে মাততে চায়
খোসমেজাজে নানান কথায় ছলে পলে।
নিজের চেয়ারে গিয়ে বসলো প্রমা স্বস্থি
ফেলে,ফাইলগুলো নিয়ে করছে ঘাটাঘাটি
টেলিফোন'টা উঠলো বেজে ক্রিংক্রিং করে
মনে ডিগবাজি খায় ভয়ে মুখটা পরিপাটি।
বড়বাবু'র সামনে এসে ভয়ে প্রমা'র চোখে
ভীষন শঙ্খিত মনে' লাজে ভরা ছাপ পানি,
তা দেখে বড়বাবু মুচকি হাসলো অধরে
কাছে টেনে নিলো প্রমা'র দোপাট্টা খানি।
প্রমা পা থেকে জুতা তুলে নিয়ে নকশা আঁকে
রেগে আগুন তেলে বড়বাবু'র হাসির গালে,
আর কত চলবে এমনটি অসভ্যতার খেলা
বড়বাবু'দের মনে প্রমা ভাবে বসে পলে পলে।
রচনাকাল
০৯।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।