ফিরে যেতে চাই সেই বোয়ালিয়া গ্রামে,হামাগুড়ি শিখেছি'যে তাতে,
নরম মাটিতে,খেলা করেছি কতো,চলতে চলতে দিবানিশি প্রাতে।
বড় বট গাছ'টা আড়াল থেকে প্রতিদিনকার মত উদয় প্রভাত রবি,
সন্ধ্যা লগনে পশ্চিমে অস্তডুবির খেলা,যেন জীবন স্বরলিপির ছবি।
ছোট গ্রাম খানির বুকে হাজার লোকের নিবাস,মিলন মেলা আলয়,
সন্ধ্যা'র পরে গ্রামে হাট বসে বেচা-কেনায় জীবন যেখানে অভিনয়।
অদূরে মসজিদে বেজে উঠে আযানে'র ধ্বনি, মন্দিরে শঙ্খ ঢোল,
কাক কোকিলে'র ডাকে জেগে উঠে চাষী সব, ভোরে'র কলোরল।
গ্রামে'র বধু'রা দল বেধে ছুটে,গঙ্গাপথে গায়ে ঢালতে পবিত্র জল,
পোড়া মরিচে পান্তা ভাতে'র গামছা বেঁধে, কিষানী হাঁটে ছলছল।
চৈত্রে'র খাঁ খাঁ রোদ্রে উলঙ্গ শরীরে,কত ঝাপ দিয়েছি ডোবা জলে,
ঘরে'র পাশে খালটা ছিলো একটু বড়,নৌকায় মাঝি সেজেছি ছলে।
আজ ও মনে পড়ে উযান জোয়ারে'র নৌকার নোঙ্গর গেলো টুটে,
ধেয়ে যাচ্ছে নদীপানে নৌকা,খেলার সাথী রুম্পা খবর দিলো ছুটে।
মাছে ভরা ডোবা'য় জাল পেতেছি শখে,টানতে জাল ছিলো'যে ভারি,
টাকা'র বস্তা উঠে এলো ভেবে,করছি টানাটানি দুষ্ট মন যে সহচরী ।
ক্রিকেটে'র মাঠে, আড্ডা'য় বাজার ঘাটে দিবানিশি ব্যাস্ত সময় পার,
বাবা'র পকেট করেছি শূন্য পকেট চুরি'তে মাইর খেয়েছি বারংবার।
টিয়ে পাখির ছানাগুলো পোষ মানিয়ে'ছি কত বদ্ধ খাঁচায় বন্ধি করে,
সেই গ্রাম খানি আমার বড়ই আপন অথচ পড়ে আছি প্রবাস ঘরে।
রচনাকাল
০৬।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।