কবিতার অন্তরালে'র কিছু কথা
নক্ষত্রপুঞ্জের মৌনমেলা দেখে আজ মন টা বড্ড বিমুঢ়
ভোরের আলোয় দিনের চরিত্র বুঝা টা যাচ্ছে বৈকি,
রক্তাক্ত রক্তিম সূর্য তার আলো চড়াবে আঁকবাঁকা প্রবাস জীবনে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে কাজকর্ম বন্ধ থাকে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং প্রচন্ড গরম আর তাপদাহ থেকে তাদের নিরাপদে রাখতে দশ বছর আগে এই নিয়ম চালু করা হয়। এই আইনের কারণে যাঁরা খোলা আকাশের নিচে কাজ করেন তাঁরা ওই সময় বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান।
কিন্তু এ বছর আমিরাতে গরম বেশি পড়েছে। প্রচন্ড দাবাদাহের কারণে শ্রমিকদের বেশ কষ্ট হচ্ছিল। এ অবস্থায় আমিরাত সরকার এবার এই আইন আগেই কার্যকর করেছে। গত ১৫ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই আইন আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশ—আবুধাবী, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইমা, ফুজিরা ও উম্মে আল কুইনের সব স্থানে খোলা জায়গায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরি অর্থাৎ যেগুলো না করলে জনগণ বা দেশের ক্ষতি হবে এমন কাজকর্ম এই আইনের বাহিরে রাখা হয়েছে। মধ্যাহ্ন বিরতির এই আইন ভঙ্গকারী বা অমান্যকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অংকের বড় জরিমানাসহ নানা বিধান রাখা হয়েছে। প্রথমবার আইন অমান্য করলে তাৎক্ষণিক পনেরো হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন লক্ষ ২০ হাজার টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পরবর্তীতে আবার আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা ও শাস্তি বৃদ্ধি হবে।
এই আইন কার্যকরের ফলে আরব আমিরাতপ্রবাসী হাজার হাজার বাংলাদেশি কিংবা অনন্য শ্রমিকসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখানকার অধিকাংশ শ্রমবাজার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান তথা এশিয় দেশের দখলে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে মধ্যাহ্ন বিরতির এই নিয়ম দশম বৎসরে পর্দাপন করেছে। উল্লেখ্য, জুলাই আগস্ট মাসে এখানে প্রচন্ড গরম থাকে। এই দুই মাস স্কুল, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
খেজুর গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন কয়েকজন বাংলাদেশি শ্রমিকমধ্যাহ্ন বিরতির এই আইনকে শ্রদ্ধা করার জন্য এবং এই আইন মেনে চলার জন্য সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, শ্রমিক ক্যাম্পগুলিতে লিফলেট বিলি করে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে নানা নির্দেশনা দিয়েছে। প্রতি বৎসরের মতো এ বছরও এই আইন যথাযথভাবে কার্যকর ও তদারকি করার জন্য এবং অমান্যকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমিরাত সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
তার উপর এই পবিত্র রমজান মাসের প্রচন্ড দাবদাহে জন জীবন ভীষন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে । আকাশ বাতাস তাক গরমে কাঁপছে । বালি মাটির উপর আগুন চিক চিক করছে ,লেলিহান শিখায়। তুবুও শ্রমিক রা কাহ করে যাচ্ছে পেটের দায়ে ।
এতো কষ্টের মাঝে ও যখন দেখছি মাইনে'টা ঠিক মত আসছে না
হিসেবে'র খাতায়, তখন মনে হয় যেন "ছেড়ে দে বাপ মরে বাঁচি"
অথচ বাড়িতে সবায় উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে কখন টাকা পাঠাবো?