নুপুর পরা মেহেদী পায়ে মন রাঙ্গিয়ে
মাতাল করে তন মন,
কে হেঁটে যায় ঐ ধারে
ঝুমুর তালে খাগড়ি পড়ে রন বন।
হলুদ শালিক ডাকে গাছের ডালে
চিপটে মিনমিনিয়ে চায়
মৃদু হাওয়ায় মন ভরিয়ে
হেমের মাঝে ষোড়শি,সুরে গান গায়।
দোপাট্টাটি কোমরে বেঁধে চপল মনে,
নিবিড় নিকুঞ্জবনে ঘুরে,
যেন গোলাপে প্রস্ফুটিত
বনে সদ্যোজাত মধুমাসে ফল তোড়ে।
অদূর থেকে ভেসে আসা মধুর বাঁশিতে
বালিকা অবাক থমকে যায়,
কে বাজায় অমন মধুময় সুর
ঝড়ের মাতন আকাশ ফেড়ে মুগ্ধ হয়ে রয়।
ধীরে ধীরে সেই বাঁশরী পাশ কেটে যাচ্ছে
বুকে উড়ু উড়ু,মনে দোলা দেয়,
বাঁশরী যেন আব বেসুরে কাঁদে
বালিকার রূপের সীমানায় পরে দোটানায়।
টান তুলেছে,পুঁথি'র সুরে কালা বাঁশরীয়া
ভাবে বালিকা'র ছোঁয়া দেয়,
কাঁদে হাত রেখেছে শ্যামের
গায়ে পাগলীনি হয়ে প্রেমের মোহনায় ।
কোন সেই ভীন দেশী যুবক কেড়ে নিলো,
মন খানি,উচাটন করে বুক
আবেগে দেহ দিয়েছে প্রেমে
ফুল ফোটেছে,অন্তঃস্বত্বায় কান্নায় উন্মুখ ।
রচনাকাল
০২।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।