আমি প্রতি'টি ক্ষণে'র কাছে ঋণগ্রস্থ সত্যি কি তাই ? অবশ্যই এই আকাশ এই বাতাস,গাছ পালা তরুলতা যেখান থেকে আমাদের অক্সিজেন আসে ।যেমনি কুসুমে ফুলে মধুপানে বাঁচে ভ্রমর, তার ক্ষুধার তাগিদে । আমাদের জীবন টা একটা ভাসমান পাত্রের মত ।দিন যাচ্ছে আয়ু ক্ষয় হচ্ছে,স্বচ্ছ আঁখি ।সবায় বলে বয়স বাড়ছে আমি বলছি না বয়স কমছে ।চোখের জ্যোতি কমছে।।নৌকার কাগজে থাকে না কেউ অমর - আমরা কেউ চিরদিন বেঁচে থাকবো না মরতে আমাদের হবেই হবে এই নৌকার কাগজের মত ভাসমান দুনিয়া থেকে ।
আকাশ দিচ্ছে আমাদের মাথার ছায়া,সেই ছায়ায় আমরা মায়ায় পড়ে গেছি যেতে 'মরিতে চাই না আমি সুন্দর ধরনী থেকে' ।শঙ্কিত থাকি ভয়ে কখন মরন বিদায় করে ডাকাডাকি শ্বাস শেষ নিঃশ্বাসে'র ,যে জল পানে সতেজ'তা আহারে বাঁচি আমরা ।
মানুষের গায়ে'র গন্ধে ভুবন সুবাসিত করে নিভৃত দেহ ঘরে ক'রে ধূপের গন্ধ এনে । প্রত্যহ মনে কত রেখে'ছে আশা আকাঙ্খ্যা অনিমিখে এবং কত অভিলাষ। মানুষের জীবনে চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই ।
জীবনের এই স্বল্প পরিসরে সোনা সুতায় গাঁথা প্রাণ সবার কাছে অতি প্রিয় ।কত রকমের কত স্বপ্ন আঁকি নবীন ফুলমঞ্জরি'র নিয়ে । রঙ্গিন মনে আমরা কত কি ভাবি সব বলি এই বাড়ি আমার ,এই গাড়ি আমার এই সম্পত্তি আমার ।আসলে প্রশ্ন থাকলো আমি কার ? কে আমার ? চোখ বুজলেই তো দুনিয়া অন্ধকার । আজকের আমি শিমুল কালকের আপনি তখন কোথায় ? ঐ সেই মাটির ঘরে ।গাছ পালা গুলো ও ভাবছে আমাদের মত কখন তাদের নিধন করে বসে ?
প্রত্যহ প্রতিক্ষণে আমি অনুভব করি ,এই দুনিয়ায় আমরা সারাক্ষণ কত আনন্দ উপভোগ করি জীবন উপভোগের মঞ্চে তৃপ্তিহীন তৃষা পুরাতে ব্যস্ত অসীম বিস্ময়ে । কিন্তু আড়াল থেকে হাসছে মরন দানব খিলখিলিয়ে এই তো কারো অজানা নয় ।
এই ভয়ে কাঁপি কখন বিদায় শুরু করে ডাকাডাকি?