আজো মনে পড়ে সেই বিকেলে'র কথা বাদল ঝরঝরে,
ঘনঘোর বরষায় ভিগিভিগি চুলে,স্তব্ধ,নির্জন চারি ধারে।
আষাঢ় বরিষনে তোমার আঁখিদ্বয় যেন জগৎ ভুলানো রবি,
মনোভাব'টা কেবল ভিন্ন,আঁচ করলাম কাঁপছে দেহ সবি।
বসন গুলো তোমায় গিলে বসেছে, হৃদয় দিয়ে অনুভবে,
স্পর্শে মেতেছে উদাসী জল,ধীরে ধীরে তাপহীন সৌরভে।
অধর কাঁপানো ঠকঠক শব্দ পা'য়ে মলের সুর যে অবিরাম,
থপ থপ আওয়াজে বর্ষার জল ঝরে,হৃদি মিশে সিক্ত প্রাণ।
ব্যাকুল বেগে তোমার হাঁটুনী,বিজুলি চমকায় ক্ষণে ক্ষণে,
শঙ্কিত ক্ষণ ভাবে গভীর আবরন,একলা মনের গৃহকোণে।
দোপাট্টা তুলেছো মাথার উপরে,বক্ষ কেঁদে কেঁদে অসহায়,
নজর না পরে যেন কোন নয়নের ফাঁদে,ভেবে আকুল প্রায়।
উদাস ভঙ্গিমায় তোমার কোমল মুখখানি,অনুর্বর পাটি,
মনে চিন্তার রেখা, কোন শিল্পীর রং তুলি'তে আঁকা ঘাটি।
আঁধার ঘেরা কালো আকাশের নিচে,আমি যে উদাস পথিক,
দূর থেকে করছি তোমায় অবলোকন,রূপের প্রহরী সৌভিক।
ক্লান্ত দেহে তুমি যখন হাঁটছ ধীরালয়ে ইঁদুর দৌড়ানো ট্রেনে,
নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি,ছুটে গেলাম দৌড়ে আপনমনে।
তুমি যেন আকাশের পরী,ছলছাতুরি সেই স্থান ছিলো ফাঁকা,
আজো খুঁজি আমি তুমি সেই সহচরী,তোমাকে হৃদয়ে আঁকা।
>>>>>>>>>>বরষার আয়োজন>>>>>>>>>>>>
রচনাকাল
১১।০৬।২০১৪
ইউ এ ই।