আমার আজকের কবিতায় প্রসঙ্গে -আসলে আজকের আমার প্রকাশিত কবিতাটি আমার জীবনে একটা ক্ষণ নিয়ে লেখা- আমি আমার স্ত্রী রুম্পা শিমুল তাঁকে(এই আসরেরই কবি) কে নিয়ে লিখেছি -এই ভাবে
এক বরষায় বসে নিরালায় এক মনে এক ধ্যানে ভাবছি একটা কবিতা লিখবো আকাশে সাদা মেঘ ছুটছে কিন্তু আমি ভেবে কোন কূল পাচ্ছি না ।শব্দরা কেন যেন আমার সাথে ত্রাস করছিলো- কিছুতে মনের কোণে ধরা দিচ্ছিলো না ।এতো খুঁজি ভাবে'র অন্তরালে কিন্তু মাথা মুণ্ড, কিছুই মনে আসছে না ।
এমন সময় আমার স্ত্রী রুম্পা এলো আমায় সামনে। এসে বললো "চলো একটি কবিতা লিখি"-আমি ও সম্মতি দিলাম ঠিক আছে- কিন্তু সে লিখে চলছে বর্ণ দিয়ে শব্দ বানিয়ে মনের উপকথা, আর আমি ভাবের উপাসনায় মত্ত বসে কিন্তু,পাইনা সাহিত্যবারতা।হঠাৎ দেখি ঈষত্ হাসি তার মুখে মুহুত্যেই কাব্য যেন বের হয়ে এলো স্বর্গে মর্তে তার লালাভো অধর ফাঁকে। আমি তো অবাক হয়ে লিখতে শুরু করলাম ।তার হাসির অঞ্চল চঞ্চল বড় শিঞ্জিত কাঁকন-দুখানি'র কলতানে আমার পুঁথিগুলি যেন কাব্যরসে ভরে গেলো।
সে গৃহিণী আমার চুলবাঁধে মুক্তাবেনী'তে রান্নাঘরে, ও কাব্য ভাবনা মত্ত থাকে ,আর কলমে কালিতে, তৈরি কবিতা'র আলপনা।
রুম্পা মুগ্ধ মাখা কথার বুনন,রোপণ করে ছন্দের চন্দ্রিমায়, আর আমি তাঁকে লিখি,কবিতার আর উপমা শিখি উত্তাল মোহনায় খুঁজি তাঁর আঁখির কোণে ।তাঁর রতনভূষণরাজি উচ্ছ্বসি লাভা হাসিরাশি, দেখে আমি যেন ভানবাসি সভ্যসাচী হয়ে উঠি । আমি তাঁর সভ্যসুজন সে আমার কাব্যভূষণ মানব জীবন সঙ্গিনী, সে আমার শুভ্র হাসিনী প্রিয়াংকরী মৃদু নৃপ-নৃত্যের সুরের রাগিণী বন্ধিনী ।মন টা তার অমৃত-উত্স-ধারা, অঙ্কিত চিত্র শীতল সুনীল নম্রভারে,তাই গেঁথেছি স্বপ্ন বুনেছি রত্ন সাহিত্যের লাইব্রেরীতে তারে কবিতার সারে সারে।
(আমার আজকের কবিতার অন্তরালের কথা গুলো আমার শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধুবরেষু অরূপ গোস্বামী মন্তব্যের ভাবনা নিয়ে প্রকাশ করলাম)