এক বরষায় বসে নিরালায় ভাবছি আপন মনে
আকাশে'র গায়ে কি লিখবো পুঁথি কোমল নারী'র সনে।
ধবল মেঘ ছুটছে বেগে,সুযোগে'র সন্ধানে শব্দ করে ত্রাস,
এতো খুঁজি ভাবে'র অন্তরালে বসে মাথা মুণ্ড, ছাইপাস।
সে ঠিকই লিখছে বর্ণ দিয়ে শব্দ বানিয়ে মনের উপকথা,
আমি ভাবের উপাসনায় মত্ত বসে,পাইনা সাহিত্যবারতা।
আবেগ আসে না মনের কোণে,হঠাৎ দেখি ঈষত্ হাসি'র বাঁকে,
কাব্য যেন লুকিয়ে আছে স্বর্গে মর্তে তার লালাভো অধর ফাঁকে।
হাসির অঞ্চল চঞ্চল বড় শিঞ্জিত কাঁকন-দুখানি'র কলতান,
পুঁথিগুলি যেন কাব্যরসে কুণ্ডল হীরা,সোনা রুপা তপ্ততান।
গৃহিণী আমার চুলবাঁধে মুক্তাবেনী'তে রান্নাঘরে,কাব্যের ভাবনা,
মেজে ঘষে বর্তন ছাপ করে কলমে কালিতে,কবিতা'র আলপনা।
মুগ্ধ মাখা কথার বুনন,রোপণ করে রুম্পা ছন্দের চন্দ্রিমায়,
আমি তাঁকে লিখি,কবিতার উপমা শিখি উত্তাল মোহনায়।
তাঁর আঁখির কোণে রতনভূষণরাজি উচ্ছ্বসি লাভা হাসিরাশি,
আমি ভানবাসি সভ্যসাচী ধ্যাণে মগ্ন,বৈয়াকরণে হরিত্বর্ণ শশী।
আমি তাঁর সভ্যসুজন সে আমার কাব্যভূষণ মানব জীবন সঙ্গিনী,
শুভ্র হাসিনী প্রিয়াংকরী, মৃদু নৃপ-নৃত্যের সুরের রাগিণী বন্ধিনী ।
হৃদি তার অমৃত-উত্স-ধারা,অঙ্কিত চিত্র শীতল সুনীল নম্রভারে,
গেঁথেছি স্বপ্ন বুনেছি রত্ন সাহিত্যের লাইব্রেরীতে কবিতার সারে সারে।
রচনাকাল
০৭।০৬২০১৪
ইউ এ ই।