সম্মানীত এডমিন সব্সময়  শ্রদ্ধা  এবং সম্মানের  প্রাপ্য-তাই আমি আপনাকে আজ অব্দি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি -এবংএটা নিরন্তর  থাকবে।
তবে আমার মনের মাঝে কিছু না বলা কথা গুলো  আঁকুপাকু করছে ।যা না বললে নই-
আমি আপনাকে  একটা বাস্তব উদাহারণ দিচ্ছি আপনার এডমিন শাসনে আবদ্ধ রাখা প্রসঙ্গে।
আমার বাড়ির পাশের একটা  লোক বলতে পারেন ফ্রেন্ড সে তার বউ কে প্রচন্ড ভালোবাসতো,যা আমি আমার চোখে  আর ২য় টা দেখিনি এই বয়সেই ও ।সে তার বউ কে সব সময়  নজরে মাঝে রাখতো,বউ টা ও খুব সুন্দর ছিলো । সে কোন ভাবে বউ এক মিনিটের জন্য আড়াল করতে চাইতো না । কোন পুরুষ তার সাথে কথা বললে তা সে মোটেই মেনে নিতে পারতো না।বউ কে কড়া শাসন করতো । কোথাও বের  হতে গেলে বোরখা পড়িয়ে বের হতো।প্রচন্ড গরমে  বউ হাঁপিয়ে যেতে ।কিন্তু কিছু বলার সাহস পেতো না।
একদিন সে দেখলো পাশের বাড়ির একটা যুবক রিলেশানে মামা হয় তার সাথে তার বউ কথা বলছে।তা দেখে সে মোটেই সহ্য করতে পারলো না । বড় এক লাঠি এনে উত্তম মাধ্যম শুরু করে দিলো ।ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নি ডাক্তার তার রূপ দেখবে বলে ।
এই সব যন্ত্রণা তার বউ নীরবে সহ্য করেছে শুধু মাত্র আত্নসম্মানের  ভয়ে-একে একে সব কষ্ট বুকে চেপে রেখেছে। কিন্তু দিন দিন তার,কড়া শাসন এত টা নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে যে,সে যেন হাঁপিয়ে  উঠেছে ,যেন সে মরতে পারলে বাঁচে ।এক দিন দেখা গেলো সত্যি সত্যি ই সে আত্নহত্য করে বসলো ।

মহামান্য এডমিন,আমার এই  বাস্তব কথা গুলো পড়ে আপনি হয়তো আড়ালে বসে হাসবেন,যা আমি দেখবো না ।হয়তো আপনার মতো অনেকেই ভাববে,এই কথা গুলোর কি দরকার  আছে এইখানে ?
তাঁদের জন্য আমি বলব আপনাকে,অতি মাত্রার শাসন মোটেই ভালো না ।যা আপনি একের পর এক করে যাচ্ছেন।যার ফল আমরা কুপল ছাড়া সুফল মোটেই দেখছিনা না ।কি ক্ষতি করে ছিলো আপনাকে আপনার আগের নিয়ম গুলো?-আরে  মনের টানে যাঁর যে কবিতা  ভালো লাগবে তাঁকে তাঁর মত করে স্বাধীন ভাবে বলতে দিন,আমরা তো এখানে প্রতিদন্ধিতায়  নামি নি যে আপনি জোড় করে মন্তব্য আদায় করাবেন? আমরা যাঁরা  আপনার এই নিখুত হাতের তৈরি প্রাণের প্রিয় কবিতার আসরে আসি নিয়মিত,সবায় কোন  না কোন কাজে ইনভল্ব আছেন জীবিকার প্রয়োজনে- তবু ও সে কাজ চুরি করে অনেক সময় আসরে ঢুঁ দিতে আসি সাহিত্যর টানে ,সত্যি ই কেবল  কাব্য ভালোবাসার টানে অথচ,আপনি সেই খানে অতন্দ্র প্রহরী নিয়োগ দিয়ে আছেন করা শাসন করার তরে।

হে প্রিয় কবিবন্ধু এডমিন -আমরা যাঁরা দু'কলম লিখার চেষ্টা করছি তাঁরা ও যেন ঐ মেয়েটির মত না হয় । ঐ মেয়েটি আত্নহত্যা করেছিলো আমরা না হয়  আসর ছাড়বো । যে খানে ফুলে সুবাস আছে,না হয় ফুল টা খুঁজতে বাধ্য করাবেন ,আর তো  কিছুই করতে পারবেন  না  নাকি -এই ভাবে একদিন দেখবেন আপনার বক্তব্য মতে  সেই  রমনীর সকল  আশা  জলে ডুবে মরছে ,যাঁর অনুপ্ররণায় আপনার এই আসর টা তৈরি হয়েছিলো ।

আপনি একটু চিন্তা করে এক গ্লাস পানি পান করে ভেবে দেখবেন,আপনার এই কড়া শাসন কয় জন কবি মেনে নিয়েছে্ন? হ্যাঁ আমি  জানি যাঁরা নিয়মিত এবং  সেরা মন্তব্যের তালিকায় তথাকতিত  লোক দেখানো নাম দেখানোর খুশিতে মেতে আছেন তারাই হইতো এখনকার জন্য রাজি ।পরে তাঁরা ও নিমরাজি হয়ে পরবেন ।

ফেসবুকের জনক Zucker bert নিজে কত বড় বিশাল একটা সাইড ওপেন করে বসে আছেন ,ব্যবহারকারীদের অবাধ স্বাধীনতা দিয়ে ।যাঁর সুফল এখন শিক্ষিত অশিক্ষিতের ঘরে ঘরে  ও ফেইসবুক ।কৈই সেখানে  তো তেমন কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেই!!
সেই তুলনায় আপনার এই সাইড টি অতীব  নগন্য ।(বলতে যদি ও কষ্ট হচ্ছে তবু ও নিরুপায় হয়ে বলছি নগণ্য শব্দ টা) এটা উদাহারণ মাত্র ।

আমার এই লেখা টি আপনি কেয়ার না করলে ও আপনার আসর চলবে।তা আমার বিশ্বাস আছে।কিন্তু একদিন ঠিকই মনে করবেন ।১০০% গ্যারান্টি ।

হে মহামান্য এডমিন অনুরোধ রইলো করজোড়ে বন্ধ করুন আপনার নিত্যনতুন শাসনের কারখানা ,যা দিন দিন  মন টা ভেঙ্গে দিচ্ছে-আসছে না ভালো কোন কবিতার আবেগ ।প্রসব করছে না কোন  ভালো কবিতা ।দয়া করে আমাদের দয়া করুন -আমাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন ।


রচনাকাল
২০।০৫।২০১৪