ব্যাথা যদি দেবে তবে,রক্ত কোষে গোপনে,
কাঁদাও কেন মন,
আয়োজনের আঙিনা খানি কি এতই ছোট,
তোমার সঙ্গোপন।
রক্তের অনুচক্রিকা গুলো থকথকে কলরবহীন,
কাঁদছে নয়নের জলে,
নীরব যেন এই দেহের সুক্ষ সুনীল তন্ত্রনালী
ক্ষার নিশ্বাস পলে পলে।
হরষে বিষাদে,কল্লোলহীন নরম ঠোঁট গুলো
হাসতে ভুলে গেছে,
স্মৃতিসাগরের তীরে,অস্তরবির সোনার কিরণ
যেন পড়ে মরে আছে।
নির্বাসন দিলে,অবিরল প্রেমের স্বরলিপিকে,
দুর্ভিক্ষের রুদ্ররোষে,
রজনী কাটে নিষ্ঠুর বুকের ফাটল আঁচলে,
অশান্ত হৃদয়কাশে।
আমি জানি সেই সময়টি ছিলো ক্ষণিকের মোহ,
তোমার,মধুর সুখের অন্বেষণে,
অম্বরতলে উর্মিমুখর ঢেউ খেলে,সন্ধ্যার ফুলে,
মেঘচুম্বিত অস্তগিরির নিরজনে।
স্তব্ধ দুটি চক্ষুকর্ণ,আশার,ক্ষরা বাঁকে,বাঁকা
স্বপ্নহীন চিত্রপটে আঁকা,
সত্য-মিথ্যের লড়াইয়ে অট্টহাস্যে চঞ্চল মনে,
টানলে নীল যবনিকা।
হৃদয়স্পন্দনের বসন্তের প্রেম,সমীরণ মর্মে
দিয়েছিলে স্বপ্ন দোলা,
পুষ্পরেণুগন্ধমাখা মন,ঘর বাঁধার হাউশ রাঙায়ে
করে গেলে ছলা-কলা ।
মোমদীপ জ্বেলে তুলে রেখে,তুলসীমঞ্জরী পাতা,
তোমার শয়ন ঘরে,
যে দিন আকাশের চাঁদ হবো,ছলনার অন্ধকারে,
আমার আঁখিতে দিও মরণের পরে।
রচনাকাল
১৯।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।