ওগো - আলোর দীপশিখাখানি জ্বেলে রেখ,হৃদয় যুগান্তরে,
মুক্তবেণীর কালো আঁধারে,সুখ খুঁজবো,সারে সারে।
হরিণ-চোখে কাজল মেখো, ভ্রু কালো'র রূপে ঘর,
স্তব্ধ হবে জোনাকির দল,ভালোবাসায় ক্ষীর অধর।
কিগো -তেল পুড়ালো,রাত গড়ালো,অপেক্ষায় কাটলো প্রহর,
দীপশিখা খানি নিভু নিভু,মনে তীব্র কষ্টে যে কাতর।
পুজার ডালা সাজিয়েছি যতন করে,মিলবো নিশিতে,
শ্রাবণ-রজনী কেটে গেলো,অসহায় একাকীত্বের,বৃত্তে।
ওগো- শুভ্রআভা মেয়ে,ময়না পাখি,মনেএত ব্যাকুল কেন আজ,
হলুদ রঙ্গের শাড়ি পরো,নরম দেহে,মুখে রেখ না লাজ।
কাঁকন হাতে ঝুমুর ছন্দে,পায়ে ঝড়ো মলের আওয়াজ,
আদর করে ভাসিয়ে দিবে,সুক্ষতায় প্রেম করবো রেওয়াজ।
কিগো- শাড়ির ভাঁজ ভেঙ্গে গেলো,সবুরে কাঁদলো যে,সুরে,সুরে,
আশায় ভাসিয়ে,গেলে আঁখি যুগল আর থাকবে কতদূরে।
নির্ভর ছন্দে মাতাল, হৃদয়দুর্গে তুমি আসবে অভিসারে,
আসি আসি বলে বন্ধু, করলে সর্বনাশ ছলনার পাহাড়ে।
ওগো- প্রবাসের উদার গিরির শিখরে অর্থ আয়ে রইলাম যে পরি,
কি করে বুঝায়,আমিও সে যাতনায়,মরি,ঘর ত্যাগী সংসারী।
নিজেকে দেখো,নিজের মত করে,সুখেকষ্টে আরো কিছু দিন,
কথা দিলাম আসছি ফিরে,তোমার নীড়ে,থেকো না শঙ্খ্যাহীন।
রচনাকাল
১৬।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।