রূপা রূপের রানী,মুখে হাসির পরশ খনি,ঠোঁটে যেন ক্ষীর,
সেই ক্ষীরে,চুন পড়ে,শাসনের কঠিন ভারে বুকটা চৌচির।
চুলগুলি তার, কালো মেঘের বরণ,কপালে আকাশের চাঁদ,
ছোট মা বাহানা খুঁজে মরে সূরুজ মুখে, ফেলে কত ফাঁদ।
রান্না-বাড়ায়, রঙিন বসন উড়ায়, রকমারি তরকারি'র স্বাদে,
সবার মুখে তারিফে,হিংসায় ছোট মা,ক্ষার স্বাধ বলে কাঁদে।
রূপার মা মরেছে শৈশবকালে, নীল কষ্টে ফাটে বুকের ছাতি,
বাবা এনেছে বিয়ে করে,ছোট মাকে,সারাক্ষণ হীন মাতামাতি।
ছোট বোন তপা'র স্বভাব কালো,মন্দ মনে, দম্ভে ছাড়াছাড়ি,
কথায় কথায়,সুঁই ফুঁটায়,কলার বগলে,ভাবে সেই সুন্দরী নারী।
রূপা আপন মনে, ভাটির করুণ টানে, ভেবে ভেবে তনু ক্ষীণ,
আলোর ছটা গায়ে হলুদ ,বাটবে তরীতে আসবে কবে সুদিন।
এক প্রভাতের রবি এলো, রাঙা সূতো নিবে উজ্জ্বল করে ঘরে,
রূপার রূপে পাগল হয়ে,বিনে-সূতায় মালা,ধন অলংকারে ভরে।
তা দেখে ছোট মা পাগল হয়ে গেলো,লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে,
উড়ুম গুড়ুম সাফাই গেয়ে,রূপার নামে,জ্বলন্ত অগ্নি দিলো যেয়ে।
নিজের মেয়ের সুনাম গাইলো,ধার করা রূপক কথার ছলে,বলে,
অষ্টমী চাঁদ হেলে পড়লো,রূপার কপাল থেকে,মিথ্যে কথার ঢলে।
গায়ে হলুদ আজ তপা বোনের,রূপা'র মনে যেন বিষাদ বাঁশির সুর,
গায়ে মিথ্যে কলঙ্ক আর ভর ধরে না, বেছে নিলো যাবে অনন্ত পুর।
তা দেখে তপা নিজেকে ধিক্কারিলো,বাজালো বাঁশী ভাটিয়ালীর সুরে,
মাকে শাষিলো,কথার ভান্ডারে তপা,হরিত্বর্ণ রূপে রূপা স্বামীরঘরে।
রচনাকাল
০৯।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।