কবি পরিচিতিঃ-নোয়াখালী জেলায়, হাতিয়া থানায়, ১৯৮২ সালে ৫ ই ডিসেম্ভর জন্ম।পিতাঃ সুবল চন্দ্র দাশ (শিক্ষক)-মাতাঃলিলি বালা দাশ(শিক্ষিকা) ছোট বেলা থেকে লেখা লেখির প্রতি প্রবল ইচ্ছা। যার হাত দরে ২০০৫ সালে আমার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় "মনে রেখ আমায়" শিরোনামে এবং কাব্যগ্রন্থ-দুই 'মোহনায় আমি ।এর পর পত্রিকায় নানান কবিতা,ছোট গল্প,ছড়া প্রকাশ হয়।তৎকালীন চিরকুটের মাধ্যমে অনেক উৎসাহ পেলে ও নানান প্রতকূলতার কারনে আর তেমন কোন কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়নি।
ক'টি কথাঃ-
আমার মাঝে আমাকে জানি,ধরিত্রী বুকে পিতা,মাতার অসীম ভালোবাসায় আগমন,কর্মজীবি গর্বহীন দীপ্তিহীন এক যুবক জয়দৃপ্ত যার সিন্ধুমন্থনসঞ্জাত।উজ্জ্বল বর্ণম,চুল গুলো আগে কাজী নজরুলের বেশ,আর এখন!!ধুর ছাই!!
সনাতন সুহৃদ্ ধর্ম মনে প্রাণে,ব্যবধান ঐ খানে আমি সর্বধর্ম বিশ্বাসী,বাবা বলেন,ঐশ্বর্যের কাছে সব কিছু হার মানে,আমি একটু ভিন্ন মতের বৈকি,আমি সবার আগে ভালোবাসা কে ঠাঁই দিই অকাতরে,আর সৃষ্টি দিয়ে ভাঙো,জীবনের অপূর্ণতাতে আগ্রহী,তাতেই আমি ব্যতিব্যস্ত,অসীম সংগ্রামে অহর্নিশি ।লেখা,পড়া বহুদূর না যেতেই শাসনদৃষ্টি স্তব্ধ,নিজের চেতনায় ছুটে চলি, ভালোর মাঝে ভালো কে খুঁজতে,স্পর্শ করি প্রবাস মাটি,উতপ্ত উত্তাপে,গা শিউরে উঠে,আকাশ,বাতাসে যেন অগ্নি ঝড়া লেলিহান শিখা পুলকি,অন্তরের গূঢ় অন্ধকার কে আলোয় এনে পৌঁছি,কয়েক বছরে,গুপ্ত কিছু সুখের হৃদয়দুর্গে প্রভুর ইচ্ছায়।নিন্দুকদলের কুকন্ঠ ভেদ করে,কণ্টকতরু নিষ্ঠুর,প্রীতিধার শোধ করে,উৎসবমুখে আমি ,জীবন তো আর থেমে থাকার নয়,সমাজের তাগিদে,জীবনের প্রয়োজনে,সুহৃদ্-রূপে নির্ভর বন্ধনে ঘর বাঁধলাম,প্রিয়তমা সাজলো আমার সোহাগিনী রুম্পা,হে অন্তর্যামী তোমায় শত কোটি প্রণাম,উপাসনা আজ তোমার তরে, প্রতীক্ষা শঙ্খঘণ্টা সন্ধ্যাভেরী,প্রদীপ জ্বালাবো ভৈরবমন্দিরে।হে বিশ্ববিধাতা কর্তব্যের প্রবর্তনে,আমি আজ সোনালী ফুলের স্নিগ্ধ ঝাঁকহীন বন্দি প্রবাসী।হৃৎপিণ্ডের রক্তশতদলে অঞ্জলি রচনা করে,প্রিয়সিনীর স্নিগ্ধতম উজ্জ্বল দীপ্ত সুবর্ণ মুখায়ব দেখার,সে ও যে আজ উন্মুখ সর্বসুখ,সর্বসঙ্গ, সর্বৈশ্বর্য, দেখার আমার অন্দরে ।
রচনাকাল
২৬।০৪।২০১৪
ইউ এ ই ।