কুয়াশায় ঢাকা পিতৃমাতৃ'র রূপ মনে
উচ্ছাসে উল্লাসে আঁকাবাঁকা গিরিপথ,
আদরে সোহাগী মেয়েটি কম্পিউটার
ইঞ্জিনিয়ার হবে,খুশির বানে ততরথ।
পেনশনের টাকাগুলো রেখেছিলো
যতন করে, মেয়ে বিয়ে দিবে বলে,
স্বপ্ন আজ হার মেনেছে,মেয়ের আবদারের
বাহানায়,ল্যাপটপ কেনার বিলে।
তপস্যায় কাটে মেয়ে,বদ্ধ ঘরে এক
মনে আনন্দ উথলে নৃত্যের ছন্দ মেঘে,
ঝড় আসে উঘরি বুকে,উরস পরশি
দুলে,স্বর্গ সুখে কন্যাকুমারী রাত জেগে।
শ্রাবণের বৃষ্টিধারা ঝড়ে দীর্ঘপথ ভালো
মন্দময় উষ্ণ বিকীর্ণ কথার আলাপনে,
বন্ধুরা মন স্পর্শ করে রোমান্টিক
কথার ছলে, মাটির তলায় সুপ্ত বীজ বুনে।
ইঙ্গিতমাখা চোখে মধুর ভাষা বুঝায়,
ইশারায়,কল্পলোকের অদৃশ্য সংকেতে,
খাঁচার পাখি অধৈর্য মন আজ উতলা,
ছুটে যেতে চায় কলমি বন্ধুর বাহুতে।
মা গ্লাসে দুধ নিয়ে ঢুকেন ঘরে,
উল্লাসিত মনে, মেয়ের মনযোগ মনিটরে,
মেয়ের পড়ার ক্ষতি হবে ভেবে চুপি
এসে বাবা দূর থেকে দেখেন প্রাণ ভরে।
কৃষ্ণ প্রেমে, নিষ্কাম ব্রতী, সুরঞ্জনা মনে
স্বল্পপরিসরে রঙ্গিন স্বপ্ন আঁকা ছবিতে,
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে ছুটে
গেলো, প্রেমের টানে,বন্ধু'র সীমান্তে ।
এ তো প্রেম নয়,দেহভোগ ছলা কলা'র
হাউশ,আশার স্বর্গ,বন্ধু দিলো রসাতলে,
বীণার তার ছিঁড়ে রক্তাক্ত,মেয়ের অসহ্য
চিত্কারে নির্নিমেষে ধর্ষনে পালাবদলে।
নির্দয়ভাগ্য আঁখির দর্প বিদ্রূপ করে,বিশ্বাসের
মরুভূ-সঙ্কটে রক্তকণিকা শিহরিত,
পাখনাকাটা ঘুঘু অসীম ঝড়ে কাঁপে,বর্বর
অত্যাচারে নধর অধর নিঙাড়ি প্রাণচ্যূত।
রচনাকাল
০৬।০৫।২০১৪
ইউ এ ই ।