উজ্জ্বল মনে আলোর মশাল জ্বেলে,
এক গোধূলিতে,নববধু রূপে সুরমা
কষ্টের জীবন নৌকায় পাল তুলেছে,
দখিনা হাওয়ায় যেন ফুলের উপমা।
মেহেদীর রঙটুকু এখনো যায়নি মুছে,
সুরমা'র ঢেঁকির রূপে জীবন,
নৌকাখানি নোঙর করেছে,স্বামীর
ঘরে, আশায় বেঁধে তৃষাতুরা ভুবন।
ধুপ,দীপ তুলসী, হার মেনেছে,
সুরমা'র বুক-ফাটা সৎ মায়ের খর্জ্জুরে,
অঞ্জলি দিয়েছে,ছোট মায়ের পায়ে,
অবিরাম,তবু জীবন কেটেছে জর্জ্জরে।
মনে ঢের কষ্টের বসত,বাড়ি ক্ষারে
ক্ষারিত বুক-ফাটা দুনিয়ার হাহাকার,
আঁখি মুছে,অগ্নিবীণার তার ছিড়বে,
পতিলয়ে,যেন রুধির বিবর্ণ নিরাকার।
উষ্ণ ছোঁয়ায় স্বামীর বাহুতে,শয্যাপাতা,
মর্ম্মের বাঁধন কাঁপানো মধুর রাত,
আকাশ তাম্বুতে সূর্য্যের আনাগোনায়,
তীব্র স্বরে,হাঁকলো অহং শাশুড়ি হাঁক।
দ্রিম্ দ্রিম্ বাজলো,স্বপ্নের ঢোলে,তাল,
লয়,তেড়ে বক্ষকানন ফেটে চৌচির,
হৃদয় কাঁপে ছেঁড়া বাঁধনের সুরে,
সুরমা'র ধুলিদাপটে মন যে বড়ই অস্থির।
সোনা-দানা যা ছিলো খুলে নিলো,যেন
দাউ দাউ জ্বলে কারবালা-ভাস্কর,
মর্সিয়া কষ্ট-ক্রন্দনের জন্য বুঝি,
জন্ম হলো সুরমা'র আঁধারিয়া সূর্য্য তার।
ছেলের সম্মানী পুরো হয়নি বলে,
শাশুড়ি বাজানা বাজায়, সুরমার পিঠে,
কণ্ঠরুদ্ধ সুরমা আজ,অন্তরের গূঢ়
অন্ধকারে,বিষতিক্ত হয়ে নির্বাসনে ছুটে।
রচনাকাল
২০।০৪।২০১৪
ইউ,এ ই।