ঐ পাড়ের এই কুটনি বুড়ি ফুলো ফুলো চোখ,
পরিপুষ্ট অঙ্গটি তাঁর লাল টুকটুকে সে মুখ।
কথার আড়ালে লুকিয়ে রাখে অহং ভরা স্বর,
জ্ঞানী গুনী সব যেন সে ভাবে আপন পর।
কুটনি বুড়ি'র কুটনামীতে, কাটের পুতুল কাঁদে,
যে বাড়ি'তে আগুন লাগে ঘি ছিটিয়ে রাঁধে।
মুখে তাঁর কোমল হাসি মনে বিষ মাখানো বাটি,
কথায় কথায় জ্ঞান দেয় যেন নন্দরাজ বেটি।
কাজের বেলা ঠনঠনাঠন এ পাড়া ও পাড়া ঘুরে,
সুযোগ পেলে লবন ছিঁটে কাব্য কথা ছুঁড়ে।
কুটনি বুড়ি রসিক আজো কন্ঠে দিলো মুক্তামালা,
রিয়্যালিটি শো'তে প্রায় দেখি সাজে মধুবালা।
মধুবালা সেজে সে সোনার সংসারে দেয় আগুন,
কুটনি বুড়ি বোঝেনি আজো বদল হলো ফাগুণ।
খোঁচ লাগানো কথা উসকানো এই যে তাঁর স্বভাব,
এক পাড়াতে ঝগড়া লাগলে, প্রচারে প্রভাব ।
মান্য করে সবায় বয়সভারে কিন্তু কুটকুটে তাঁর মন,
বুঝে না সে আদি মনে,অহংকার করে সারাক্ষণ।
বিয়োগ থেকে যোগ দিলাম শ্রদ্ধাভরে,ফলাফল শূন্য
এমন কুটনি বুড়ি আমি আর দেখিনি বত্রিশে পূর্ণ।
রচনাকাল
০১।১০।২০১৪
ইউ এ ই ।