পাশের ঘরে আলো জ্বলে,মাগো দাদার সারা নেই,
কয়েল কিনতে পাঠালে নাকি ? পাড়ার গলি ওই।
আমিও যেতাম দাদার সনে, হাতের লাঠি হয়ে,
মায়ের মুখে মুচকি হাসি, আঁচল মুখে দিয়ে।
"ওরে দাদার হাতের লাঠি, পাকনা মুখের বুলি,
পড়ার টেবিল ডাকছে তোমায়, এসো বই খুলি"।
সন্ধ্যা হলো, পাড়া জুড়াইল, জোনাক জ্বলা নিশি;
এই তো দাদা আসবে ফিরে, পূর্ণিমার'ই শশী।
জোনাকি আলো মেঘে ঢাকা, বাড়ছে গভীর রাত
তবু কেনো আসছে না খোকা? ভয়ের সংঘাত!
স্তব্ধ আকাশ, স্তব্ধ পাখি, ঘুমের ঘোরে সবায়,
শাঁ শাঁ বাতাস বইছে শুধু, ঠান্ডা আঁধারের আভায়।
মায়ের কান্না জ্যোৎস্নারাতে, আকাশ বাতাস ভারী;
যেন প্রজাপতির ডানা ভেঙ্গেছে, বালু চরের হাঁড়ি।
ভোরের আকাশে সূর্য এলো, খোকা এলো নাতো?
এক পৃথিবী স্বপ্ন মায়ের, সে যে অপেক্ষায় অবিরত।
রচনাকাল
১২-০৪-২০১৯
আবুধাবী