দেখেছি আমি তাঁরে
কোনো এক গোধূলিতে,মুখে হালকা কাপরে;
সাদা রঙের ওড়নায় পেঁচিয়ে,চঞ্চল হেঁটে যাচ্ছে,
পিছনে ছুটছে তার ল্যম্পপোষ্টের নীলাঞ্জন ছায়া।
একাকী নির্জন গোধূলিতে এমন অশান্ত হেঁটে চলা,
সেটা তো অবাক হবার মত,প্রশ্ন তৈরি করতেই পারে!
কিন্তু আমি তেমন অবাক হইনি।কারণ বাস্তবতা মাঝে মাঝে
আমাদের এমন ছুটাই, শ্রাবণের অশান্ত পবনের মত।
আমি বাইক থামিয়ে, তার সামনে দাঁড়াবো কিনা ভাবছি!
কিন্তু তা আর হলো না, সে ছুটছে তো ছুটছে।
আমি যেন তাঁর পিছনে, তাঁরই প্রহররী।
কিন্তু না সেটার ভিন্নতা আমি তখনি খুঁজে পেলাম,
যখনি দেখলাম,তার অঙ্গের গতি বিজলীর দীপের মত বেড়ে গেল।
হয়তোবা তাঁর পিছনে আমার উপস্থিতি, তাঁর বাড়তি চিন্তার রেখা!!
সে বারংবার পিছনে আমার দিকে পিছু তাকাচ্ছে,অশান্ত হৃদয়ে
তাঁর চোখে মুখে ভয়ের অস্থির বেদনা, কিন্তু কেনো তা?
আমি তো অতটা খারাপ নয়?
আমি যে তাঁর হুড়োহুড়ি ব্যস্ততায় দিশাহারা শ্রাবণের প্রহরী মাত্র।
আমার এমন ভাবনার ভিড়ে ,বাস্তবে বাইকের ব্রেক কষতে হলো,
মুখ থেকে সাদা ওড়নাটা সরিয়ে, সে আমার সন্মুখে দাঁড়িয়ে।
তখনো মেয়েটির মুখে অশান্ত ব্যস্ততা, ধমক দিয়ে বললো,
"আমি আপনার বাইকের পিছনে বসলাম, আপনি দ্রুত চলুন"।
আমি নির্বাক যখন, ততক্ষণে সে আমার বাইকের পিছনে বসে,
অন্ধকার সন্ধায় ,তাঁর গন্তব্যের গতি যেখানে থামলো-
সেটা একটা মানসিক হসপিটাল!! সে দ্রুত পালালো!!
আমি তো হতভম্ভ!! এ কেমন করে সম্ভব !
অনেকদিন পর কাল তাকে আমি আবার দেখলাম,
আগের মতোই সুশ্রী -এবং চঞ্চলতা, সুন্দরী যৌবনা।
শাড়ি পরেছে সে। আমি তখন আনমনে দাঁড়িয়ে ,
পিছন থেকে হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার স্কন্দে
অচেনা এক মেহেদি রাঙা হাত!!
রচনাকাল
০৮।১২।২০১৯
আবুধাবী