সাঁঝবাতির আলো  নতজানু হয়ে কাকে যেন ডেকে ফেরে,
আর....
মাঝি হাঁক  যায় বিকেলের স্রোতকে -
'ওরে নদী ফিরে আয়, ফিরে আয়,
ঘরে ফেরার ডাক এসেছে, আর কত ভাসাবি খেয়া?'

আমি বুঝতে পারি না সাঁঝবাতির ভাষা
আর মাঝির ভাঙা সে ডাক...
শুধু একটুকু বুঝি কোথাও একটা ফিরতে হবে...
অনেকটা জাল ফেলে ফের তুলে নিতে হবে...

কিন্তু আমি যে সেই জেলে-বাউরির মতো...
রাত ভোর করি জেগে, চকচকে হয়ে ওঠে চোখ লোভে,
আর রাত জাগে আমার চোখের ভিতর তিন-মহল বাড়ি...

তুমি এস একবার , এস দেখো,
সে বাড়ির প্রথমেই  দেখবে তিন ফসলের চর্চা,
সকালে কি খাবো, দুপুরের আহার, রাতে কি হবে...

এগোও, ওই দেখো মাথার উপর ঝাড়বাতি এক লক্ষের,
সামনেই আমার সজ্জাগৃহ, আমার রূপ রসের বিছানা,
বিছানায় মিথ্যে ঘুমে বিলীন হয়ে  চেতনা,

ঘুমের মাঝেই হৃদি-পাখি ডাকে, সন্ধ্যা হয়ে গেছে বন্ধু,
শাঁখ বাজে, ধূপ ওড়ে, সাঁঝবাতি জ্বলে...

সাঁঝবাতির আলো  নতজানু হয়ে কাকে যেন ডাকে,
আমার নৌকার মাঝি হাঁক দেয়,
আমায় ফিরতে হবে আবার স্রোতের উল্টোপথে,
আমি ভেসে গেলে আর পাবো না উৎসকে...