আজ দেখলাম, এক ডানাহীন পাখি,
নীল আকাশে তৃষ্ণায় ছটফট করছে,
তাঁর চোখের জল ঝরে  বয়ে যাচ্ছে তপ্ত মরুভূমির বালিতে।
তবুও সে থামে না, থামতে পারে না,
কারণ আকাশ তো তার স্বপ্নবাড়ি,
আর স্বপ্ন যে তার দগ্ধ ডানা।

নদীর তীরে  সে বসে, শীতল জলে মুখ ডোবায়,
তবু সেই নদী যেন তার মনের দাবানল নেভাতে অক্ষম।
পাহাড়ে ওঠে, চূড়ায় দাঁড়ায়,
তবু তার দৃষ্টি ধরা পড়ে শুধুই এক শূন্যতায়।
মনে হয় যেন সে নিজেই
এক হারানো প্রতিচ্ছবি, সময়ের আয়নায়।

তার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ
একটি চক্রাকারে ঘূর্ণায়মান ধোঁয়া,
যেখানে শুরু আর শেষ মিলে মিশে এক হয়ে যায় ।
তার বুকের ভেতর তোলপাড় করে এক ঝড়,
যা কখনো থামে না, শুধু বাড়ে।
সে বুঝতে পারে, এই ব্যাকুলতা
তার জীবনের এক অন্তহীন সংগীত।

সে জানে , তার উড়ান নেই,
তবু আকাশ তার চাই।
মরুভূমির বালিতে সে স্বপ্ন আঁকে,
বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে বাঁচার।
এই অস্থিরতা, এই ব্যাকুলতা ,
তার জীবনযাত্রার এক অন্য নাম,
যেখানে স্থিরতার অর্থ শুধুই অনন্ত শূন্যতা।