আমাদের প্রতিটি স্বপ্নের মূর্তি
'তাহাদের' কাছে মাথানত করে!
সভ্যনামিক দেশপ্রেমিক নিজেদেরকে
চরিতার্থ করে গণিকার পদচুম্বনে,
আমি ও আমরা গণতন্ত্র গণতন্ত্র করে
জীবনকে বিষিয়ে তুলি;
জনপ্রতিনিধির সৌখিন তামাকে ঢালি
আমাদের তাবৎ অন্ধ সমর্থন।

পৈশাচিক স্বপ্নচারিতা;কিংবা
মিথ্যা স্বপ্নের অসম কাম ও কমনীয়তা,
আমাদের রাতের ঘুম, দিনের কর্মচাঞ্চল্য,
সবকিছুকে ভূলুন্ঠিত করে।
ঔপনিবেশিকতার পরাক্রমশালী শক্তিরুপে
আবির্ভূত হয় আমাদের নির্বাচিত মন্ত্রী ও এমপিগণ!
জাতীয় সংসদে মুহুর্মুহু করতালিতে
পাশ হয়-
'তাহাদের' বিলাসী জীবনের গ্যারান্টি আর
'কাহারো কাহারো' চৌদ্দ গোষ্ঠীর নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার  যাবতীয় নিশ্চয়তা।
আর আমাদের বোনেরা ধর্ষিতা হয়ে
দ্বারে দ্বারে ধর্না দেয় বিচারের দাবী নিয়ে,
আমাদের শিক্ষকেরা পুলিশের পিটুনি খায়
বেতন ভাতার দাবীতে,
চাকুরীহীন স্বপ্নহীন লাখ লাখ বেকার যুবক
ভ্রান্তির ঘোরে থাকে ইয়াবার নেশায়,
লাগাতার প্রশ্নপত্র  ফাঁস আর  কোচিং বানিজ্যের কারনে
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রায়;
অথচ 'তাহারা' সুরম্য সংসদে বসে ডুগডুগি বাজায়,
আমাদের ব্যাংকগুলো থেকে লুট হয়ে যায়
হাজার হাজার কোটি টাকা;
অথচ আমরা এসবের কোন বিচার পাইনা।

আমাদের কী দাম!
গণতন্ত্রের  প্রধান শক্তি নামের এক জীবন্ত তামাশা আমরা!
'তাহারা' ঠিকই জানে ভাতের
কাঙালগুলোকে কেনা যাবে ভোটের সময়!
বছর বছর নির্বাচনে ভোট দেয়া এ মানুষগুলোর,
ভূখানাঙ্গা পেট আর সর্বগ্রাসী ক্ষুধা ছাড়া
আর কীইবা আছে
গর্ব করার মতো!
কেনইবা আমরা গন্য হবো গণতন্ত্রের বাজারে?

লন্ডন
৭ মার্চ ২০১৮