অবিমিশ্র অন্ধকার অহর্নিশ
সম্ভোগের নেশায় বুদ,
কোমল বিশ্বকে পরিভ্রমন করে দস্যু প্রেমিক পর্যটক,
আগন্তুক পুরুষের রাহুগ্রাসে বিলীয়মান
সৌন্দর্য রাশি রাশি,
অনূঢ়া অধরার চঞ্চল ঔষ্ঠপ্রান্তে বসে
আমি নিসর্গের হাসা হাসি।

চাবুক পৃষ্ঠকে রক্তাক্ত করে যতোটা;
তার চেয়ে ঢের বেশী অনুগত এই তুমি।
নির্ভেজাল প্রেম আর নিরংকুশ ভালবাসার
ব্যবচ্ছেদ করে পরকীয়া পারমিতা পারঙ্গম,
অবিচল অদৃষ্টের কাছে আত্মসমর্পন করে-
ব্যর্থ নিরর্থ আমি কৃত্রিম সন্তুষ্টির ভান করে বলি- সেই ভালো যা করে অন্তর্যামি!

যৌবনের জোয়ারে ভেসে যায় মানবিক আবেদন,
সভ্যতার বিকাশ আর কাব্য চর্চায়
নিজেকে লুকায় মুরদহীন কবি পুরুষ,
কর্পোরেট পুরুষের পৌরষধারায় স্নাত,  নতজানু প্রিয় নারী,
ধনমত্ত নারী উপেক্ষা করতে পারে না
বানিজ্যিক পুরুষের মাদক আহবান।


রচনাকাল:
লন্ডন
১৭ মার্চ ২০১৮