দরিদ্র পিতার রাজকন্যা
কালো বদনের টয়া।
লোকের চোখে সুন্দরী নয়
নম্র,ভদ্র এক তনয়া।
দুলালী, সোহাগী, আত্মজা
পিতামাতার কলিজা।
পনেরো পেরিয়ে হল ষোল
দূরন্ত যৌবনে পা।
মেয়ে,দিতে হবে বিয়ে
নিয়ম এ জগৎসংসারে।
বুনিয়াদী ঘরে,ছেলে পেয়ে
দিয়ে দিল তার ঘরে।
নিয়তির বিধি বাম
হলো নির্দয় পরিনাম।
পণের জন্য দিতে হলো
পিতার ভিটে মাটির দাম।
অভাবে সংসারে,কাটে অনাহারে
নিষ্ঠুর স্বামীর প্রহার।
একে একে চারটি সন্তান
তাই স্বপ্ন তাহার বাঁচার।
স্বামী তাহার মত্ত পরকীয়ায়
ভালোলাগে না সংসার।
বউয়ের উপর কুৎসা রটিয়ে
তালাক দিলেন এবার।
কষ্টের হউক আছে নাড়ী ছেঁড়া ধন
ছাড়তে কি ইচ্ছে করে?
অসহায় মেয়ে ঘুরে বারে বারে
সমাজপতিদের দ্বারে।
বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে
গলে না তাদের মন।
কিছু পয়সা পেয়ে স্বামীর দলে
সমাজপতিদের সমর্থন।
আহ্! কী যে আহাজারি
তোমাদের পায়ে ধরি,
ভেঙে দিও না টয়ার সংসার।