কবিতারাও স্তব্ধ এখন বিশ্বরোষের দায়ে,
একাকিনী সে দাঁড়িয়ে আছে দুঃখ মেখে গায়ে৷
তাকিয়ে আছে দুয়ার পানে, অবুঝ চোখের তারা,
ভাবছে বোধহয় ফিরবে ঘরে দূরে রয়েছে যারা৷
অমাবস্যা নামছে মনে, ভারাক্রান্ত মন,
কাটছে যে দিন স্লথ পায়ে, শুনছে অনুরণন৷
মজ্জাতে তার ঘুন ধরেছে, চুন হয়েছে মুখ,
জীবন দোলা দুলছে এমন অলীক এখন সুখ৷
আমিও এখন তাকিয়ে আছি সুদূর ভবিষ্যতে,
সময় কি আর প্রলেপ দেবে জমে থাকা ক্ষতে?
অচীন পথের পথিক সবাই, সঙ্গিবিহীন প্রাণ,
দুহাত তুলে বিলাপ করি চাইতে পরিত্রাণ৷
অবশেষ যদিও কিছু পড়ে থাকে বাকি,
হৃদয় দিয়ে আগলে রাখো, দিয়ো নাকো ফাঁকি৷
আশার আলোয় বুকটি বেঁধে, চুপটি করে থাকো,
শুদ্ধ বিশ্ব আসবে আবার দুয়ার খোলা রাখো৷৷