পাথরের ঠান্ডা সমাধিতে,
তোমার কাব্যে সোনালী অক্ষর নিয়ে হাতে-
যুগলবন্দী আমরা সকলে, গণতন্ত্রের কবি!
হৃদয় অনল রক্তক্ষরণে, একেছি দ্রোহের ছবি।
কোথায় তোমার সাম্যের গান, বজ্র কন্ঠ বাণী?
জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্রে শুধুই ক্ষমতার গজরানি।
মানুষে মানুষে বিভেদ রচনা অর্থ ও পদবীর-
সবজান্তার ভীড়েতে হারায়, প্রকৃত কর্মবীর।
তোমার শিশুরা দাঁড়ায় শিয়রে, পিতার অপেক্ষায়,
আরো একবার ঝড় তুলো তুমি, সাম্য প্রতিষ্ঠায়।
টুঙ্গিপাড়ার পথ জুড়ে আজ তোমাকে খুজেছি শুধু,
ফুলেতে তোরনে শ্লোগানে তুমি, মননে কেবলি ধূধূ।
পসরা সাজিয়ে বণিকেরা সব, পণ্য করেছে পিতা-
মানুষেরে ভালোবেসে যে রক্ত, দিয়েছিলে- তাকি বৃথা?
কোথায় তোমার সমাজতন্ত্র, পেশাজীবিতার দেশ?
কৃষক শ্রমিক মুটেরার ঘাম, প্রজাতন্ত্রের বেশ?
রাষ্ট্রযন্ত্র চালায় তন্ত্র, পুরনো পোষাকে ঐ কারা?
পোষ্য চড়েছে মালিকের ঘাড়ে, শাসন করে কামলারা।
শিক্ষাগুরুর তাজ লুটে নেয়, শিক্ষা শুধুই পুস্তকে-
বিদ্যা আজিকে তন্ত্রে মিলায়, নতজানু হয় মস্তকে।
আবার উদিবে প্রভাতের আলো, তব তর্জনি গর্জনে,
মানুষের কথা বলবে মানুষ, তন্ত্র মন্ত্র বর্জনে।
বিধি বিধানের যন্ত্র ভাঙ্গিবে, জ্ঞান ও শান্তি প্রজ্ঞাময়,
তোমার চেতনা ধারনায় হোক, নতুন দিনের অভ্যুদয়।