বিষন্নতার দেশে কবি ও কবিতার বসবাস,
সুখ আচ্ছাদনে আবৃত তার প্রতিটি পরতে-
না পাওয়ার বেদনা মাখা সুললিত পংক্তিতে-
নীলাভ সব দুঃখ ই খোঁজে, আনন্দ অভিলাষ।

কবি কিংবা কবিতা, কোন সামগ্রিক স্বত্ত্বা নয়,
মুহূর্তের আবেগী অনুভবে তার জন্ম হয়।
ভাবের শেষে ফিরে যায় সে বাস্তবতায়,
কাঠ গোলাপের সুবাসে নয়, অর্থমূল্যের
চাকচিক্যময়, দুর্বিনীত কঠিন দুনিয়ায়।
হাটের, মাঠের, তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে তার
মূল্যহীন ভূমিকা থাকে গণতন্ত্রের রায় !

পরাবাস্তবের ধ্যান তার কাছে এক খেলা,
অতীত কিংবা ভবিষ্যতের শব্দগুচ্ছমালা;
কবিতার মতই অর্থহীন, মূল্যহীন, তুচ্ছতায়
কবি শুধুই, সুখ না পাওয়ার দুঃখ বিলায়।

কোন এক বিষন্ন বিকেলে, কবি মিশে যেতে চায়;
লাজুক প্রেয়সীর স্বপ্নমাখা গোধূলি আভায়;
কিংবা-
বিদ্রোহের ঢেউ বুকে নিয়ে, জ্বলন্ত মশাল হাতে,
মিছিলে মিশে যেতে চায়, মন্ত্রময় ভালোবাসার রাতে।
কিন্তু কবি!
ফিরে আসে নিষ্কলঙ্ক নিষ্পাপ বাস্তবতায়,
বাজারের ফর্দ ফুটে ওঠে মুঠোফোনের পর্দায়;
স্বপ্নের প্রেয়সী তখন ঘরনীর কঠিন অংকে,
কেরানী কবিরে বাঁধে সংসারের কঠিন যাতনায়।

ভাবাবেগে আক্রান্ত সেই কবি,
লিখে চলে মূল্যহীন, অর্থহীন, লক্ষ্যহীন,
সাদাকালো, কিংবা রঙ্গিন,
"অমূল্য মুহূর্তগুলো বাঁচুক দীর্ঘদিন"
শুধু এই প্রত্যাশায়।