অভিনন্দন, আশিকের মন, ঈদে মিলাদুন্নবী-
ঘোর তমসার আধার কাটিয়া ফুটিলো নূরের রবি;
মানুষে মানুষে বিভেদ ভুলাতে এলো শান্তির ধারা,
মক্কার ঝিলে ফুটিলো কমল, উজ্জ্বল এক তারা।
তারিই রোশনাই ছুটিলো জাহানে, সুরভিত হোল সব-
পাপে পঙ্কিল ধরনীর বুকে; নব জীবনের রব।
শোন হে মানুষ জন-
কাবা প্রাঙ্গনে জন্ম তাহার, অতি সাধারন নন।
গর্ভে থাকিতে হারালেন পিতা, দুঃখিনী মায়ের কোলে,
আসিলেন লয়ে নব বাণী বুকে, আনন্দ কল্লোলে।
ধরনী তাহারে ধারণ করিতে, সাজিলো নতুন রূপে,
মরুর বুকেতে বরষার ধারা, মেঘ মল্লার ধূপে।
শিশু বয়েসেই মায়েরে হারায়ে, আপনায়ে নেন বিশ্ব;
আত্মাতে তার মিশিয়া মানব, উন্নত হয় নিঃস্ব।
রাখালের বেশে ঘুরিয়া ঘুরিয়া, তপ্ত বালুর বুকে-
কঠিন দীক্ষা দিলেন বিধাতা, নবযুগ অভিমুখে।
জাহেলিয়াতের আধারেও তিনি, সত্যের চিরসাথী-
আলামিন বলে করিলো গ্রহন, তমসা মগ্ন জাতি।
ডাকিতেন তিনি অবিনশ্বরে, ভাবিতেন তার কথা,
হেরা পর্বতে ধ্যানেতে বসিয়া, হৃদয় দুঃখ ব্যাথা।
সময় হইলো বন্ধু তাহার, ডাকেতে দিলেন সাড়া-
মিথ্যে বেসাতি ডুবিলো সকলি, উদিলো নতুন ধারা।
নূরের রশ্মি দিকে দিকে ঐ তার নামে ছুটে যায়,
কালের গর্ভে মিথ্যে টুটিলো, বাধ ভাঙা বন্যায়।
কঠিনে কোমলে ভাঙিলেন তিনি জাতের অহংকার,
এককাতারে ভাগ করে দেন, একে অন্যের ভার।
সকলে আসিয়া কাধে কাধ রাখি, সত্য উচ্চারণে
স্মরিলো খোদারে হাতে হাত রাখি এক চিত্ত মনে।
মিথ্যে হইলো দূর-
তার মুখ হতে শুনিলো মানব কোরানের সব সুর;
প্রথা ও জড়তা ভাঙিয়া বিশ্ব সাজিলো নতুন রসে,
উর্দ্ধাকাশও রাঙ্গিলো মেরাজে, জ্যোতিময় উল্লাসে।
হাবীবে খোদা সাক্ষাত লয়ে আসিলেন ফিরে যবে,
সহস্রকাল পার হয়ে তবে প্রাণ ফিরিলো এ ভবে।
ক্ষমার দ্যুতিতে চিরভাষ্মর বুকেতে মিলায় সুখ,
আপনারে যারা গৃহহারা করে সেই মানুষের বুক।
সব মানুষেরে অধিকার দেন সমহারে ভাগ করি-
সরল পথের কান্ডারী তিনি, সন্ন্যাসী সংসারী।
প্রেমময় তার সারাটি জীবন উম্মতে ভালোবাসা-
খোদার সমুখে এই পরিচয়ে পার হইবার আশা।
মহিবুল্লাহ্ সৌরভ
ফকিরহাট। বাগেরহাট
০৯ অক্টোবর, ২০২২