এই যে সামনের নদী খানি স্থির,
ক্ষ্ণে ক্ষ্ণে ঢেউ তুলে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।

নদী পারের আকাশটা,
লজ্জায় লাল হয়ে আছে!
রক্তিম আভার আড়ালে
প্রকান্ড সূর্য টা পালাই পালাই করছে।

আমি হেথা ক্লান্ত অবষাদে,
হাটু গেড়ে,মাথা ঝুকে;
বালির চাদরখানির উপর বসেছি শক্ত পটে।
ক্লান্ত চাহনী আর মৃদু আঁখে,
ওপারের জোৎস্না নগরীর রাস্তা খানি তখন নিচ্ছিলাম মেপে।

আজি অমাবস্যা তিথিতে,
ক্লান্ত,বিদ্ধস্ত পথিক বেশে;
পারি দিব আজি বেখায়ালির স্ব্ররে।

এই যে!
এই ঘোলা পানির নদীটুকু,
সন্ধ্যার মোহতায়,আলোক রশ্মির বর্ণচ্ছটায়;
রঙিন দেখাচ্ছে নয়ন পানে।
সেটুকু আমার বিচিত্র পৃথ্বী,
যার মোহে ভুলিয়াছে এই পথিক দৃষ্টি;
থাকতে হবে স্রষ্টার স্বরণে।

এ নদী খানি পেরোতে পারলেই,
সফলার তীরে সাঁতড়াবো স্রষ্টা কৃপাই।

আর যদি এ রঙিনতায় ভাসতে চাই,
অলীক স্বপ্ন রাঙিয়ে মাততে চাই!
তবে পাতালপুরীর বাসিন্দা হবো
অগ্নি শিখার প্রজ্জ্বলিত বেশে
আর কত কাল কাটাবো?