আকাশে বাতাসে শত স্বপ্নের মায়াজাল বুনে
শিশিরে ভেজা ঘাসে মেঠো পথে পথে
হাজারো স্মৃতি চিহ্ন এঁকে রেখে
খরোস্রোতা নদীর ঢেউয়ের মত
হারিয়ে গেলে তুমি অচেনার ভিড়ে ।
পিঁছু ফিরে তুমি চেয়ে দেখনি কখনো আর
কেমনে কাটে আমার সকল রাত্রি দিন
নক্ষত্রহীন ধোঁয়াশার মাঝে
প্রহরের পর প্রহর বন্দী হয়ে থেকে
আপন নীড়ে ।
ছুড়ে ফেলে দিলে আমায় খড় কুটোর মত
আস্তাকুড়ে ; বয়ে গেল তুফান
পরিত্যক্ত শরীর খুঁড়ে ফুঁড়ে
বিদায়ের সম্ভাষণে ভেসে গেল আমার
বানভাসি হৃদয় ।
ভাবেনি কখনো উঠে দাঁড়াব আবার আমি
হিজল-বট-অশ্বত্থের ছায়া তলে ,
দেখিব আবার ধান শিশে দোলা
হেঁটে যাব আলপথ ধরে অমরাবতীর তীরে
অলিদের সভায় !
রেখে এলেম বহু বছর আমি দিগন্ত পারে ;
তবু স্মৃতির ভারে অস্তগামী
সূর্যের মত আজো হই লাল
গোধূলির ভাঁজে ভাঁজে পাই আজও আমি
তার গায়ের গন্ধ !
হয়তো কখনো মুখোমুখি হব দুজনে আবার
বাসে-ট্রেনে-ট্রামে অথবা হাঁটা পথে
মুখ পানে চেয়ে রব ক্ষণিক আমি ;
হয়তো তুমি চলেই যাবে
অপরিচিতের মত , যেন
ছিলনা কোনো কালে কোনো সম্বন্ধ ।
হয়তো এতদিনে বেঁধেছ তোমার নোঙরখানি
অন্য কোনো চরের কিনারে এসে ;
দোষ দেব না কখনো আমি তোমায় জেনো
মেনে নেব সবই আমি হেসে হেসে ।
শুধু মনের কোনে সদা উদ্ভাসিত স্মৃতিগুলি
এমনি থেকে যাক চিরদিন , পেয়েছি যাদের
আমি , তোমায় ভালোবেসে ।