আমি জেনে শুনে প্রেম সুধা করিয়াছি পান
বেঁধেছি নোঙর তব ঘাটে , ফিরিব না আর ।
কাঙালের বেশে করিয়াছি কত অভিযান
নিভৃতে নির্জনে শহরে ও গ্রামে অনিবার ,
পায়নি খুঁজে কোথাও আগে হেন কাঙালিরে
সুপ্ত রূপে ফল্গু ধারারে ভূবন মাঝারে ।
দেখিয়াছি নীলে সাজিতে কত না গোধূলিরে
অপরূপ রূপে রামধনু রঙেরও বাহারে ,
শরতের লাবণ্যে মাতাল হাওয়ার তালে
রূপসী মেঘেদের নাচিতে গগনে দুলকি চালে ।
আমি দেখিয়াছি কাশেদের মায়াবি উচ্ছ্বাস
জোনাকির আলোয় যুবতী পূর্ণিমার ক্রাস ।
সব কিছু যেন ফিকে হয়ে যায় রাঙা মুখটায় ,
আকাশ বাতাস সাজিছে তারি ঘনঘটায় ।
ফাগুন রাঙা ও চক্ষু দুটি মেলি যবে ধরে
কারো সাধ্যি নাই তখন তারে উপেক্ষা করে ।
যৌবনা নদীর ও ঢেউ লভিতে , দুই কুলে
জাগিছে কত না নিশি ঐ অলিরা দলে দলে ।
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু লুটিতে তার পায়
চাহিয়া রয় পূবের কোণে ঊষারও প্রতীক্ষায় ।
অন্তরও তার তৃণ সম সুকোমল অতি
লাজুক বদনে যেন ঝলকে কমল মূর্তি ।
চলিলে ওঠে যে পলাশেরও বনে হিল্লোল
থাকিতে না'পারি দেখিয়া ও প্রাণেরও দোল ।
এলেম যে তাই মাড়িয়ে দু'পায় যত দুখ
খুঁজি চলো দেখি প্রিয়তমা , জীবনের সুখ ।