কুয়াশায় ডাকা পৃথিবীর বুকে
আমায় দেখিয়েছ পথ
তুমি বারংবার ;
চলেছি হাতে হাত ধরে প্রতিবার ;
সিক্ত হয়েছে ভালোবাসায়
পৃথিবীর সকল চারণভূমি ।
চাঁদ , সূর্য , তারায়
সীমাহীন নীলিমার গায়
আজও লেগে আছে গন্ধ তার ;
যামিনী
এখনো কি তুমি আমায়
চিনতে পারনি ?
সে দিন ছিলো মেয়েটির জন্মদিন ;
রামধনু রাঙা চুরিদার পরলো
চুলগুলো বিনুনি করে তাতে বাঁধলো লাল ফিতা ,
হাতে পরলো রঙিন চুরি ; পায়ে পরলো নুপুর
আলতো করে দিল কাজল , চোখে ।
বেরোতে বেরোতে একটু দেরি হয়ে গেল তার ;
হন্তদন্ত হয়ে তাই ছুঁটলো সে ।
আসবো স্যার ,
এসো ,
এত দেরি কেন হল আজ ?
ভাঙা গলায় মেয়েটি বললো :
এমন কখনো আর হবেনা স্যার ।
আচ্ছা বুঝলাম , যাও গিয়ে বসো ।
চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো মেয়েটি…..
গম্ভীর স্বরে স্যার বললেন :
কি হল তোমার ? যাও গিয়ে বসো ।
ভয়ে ভয়ে মেয়েটি বললো :
আজ আমার জন্মদিন ,
সকলের জন্য এনেছি চকলেট তাই ;
সকলকে দিতে পারি যদি আপনার অনুমতি পাই ।
বেশ তো , যাও ….।
প্রথমে দিল স্যার কে , পা ছুঁয়ে করলো প্রণাম
তারপর একে একে গেল সে সকলের কাছে ।
ছেলেটি বসেছিল সেথায়
যেথায় বসেছিল প্রথম দিন ।
ধীর পায়ে দাঁড়াল এসে মেয়েটি ,
ছেলেটির পাশে ।
তাকেই দেখছিল এতক্ষণ ছেলেটি
অপলক নয়নে ;
আর বলছিল মনে মনে …
কি অপরূপ রূপ তোমার
হে প্রিয়তমা …
যেন স্বর্গ হতে মোর সম্মুখে
আসিল নেমে ,
অপসরা তিলোত্তমা ।
সাত সকালে যেন বসন্ত এসে
মাখাল প্রেমের রং পলাশে পলাশে ;
প্রেমের কুসুম উঠিল দুলে
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে ...।
উঠে দাঁড়াল ছেলেটি ...।
হাতে হাত পড়তেই
আকাশে বাতাসে বেজে উঠলো শঙ্খধ্বনি
বৈশাখী পরিবেশে ফাগুন উঠলো গেয়ে
রিক্ত কুঞ্জ ভরে গেল ফুলেদের মেলায় ,
জ্বলে উঠলো শত সহস্র আলো
নক্ষত্রদের পাড়ায় পাড়ায়…. ।
মৃদু হেসে বললো ছেলেটি : শুভ জন্মদিন...।
কোনো কথা না বলে লাজুক বদনে
চলে গেল সে ।