মুক্ত আকাশে শান্ত বাতাসে
উড়িয়ে দিলাম আমি
মনের গোপনে থাকা যত না বলা কথা ;
খুঁজে নিও তুমি ভোরের ঝরা শিশিরে
আমার হৃদয়ের সকল গোপন ব্যথা ।

হাজার বছর ধরে 
সিংহল থেকে বিম্বিসার যুগ হয়ে
সাত সমুদ্র , তেরো নদী পেরিয়ে 
এসেছি বহুবার ,
আজও এলাম আরো একবার ;
যামিনী
পেলে কি তুমি 
আমার আগমন বার্তাখানি ?



ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির প্রথম আলাপ
দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা কোচিং সেন্টারে ;
ছেলেটি বিজ্ঞানের ছাত্র আর মেয়েটি
কলা বিভাগ , স্কুলও তাদের আলাদা
তাই দেখা হয়নি তাদের অন্য কোথাও আগে ।
ছেলেটির আঠারো পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক 
মাস আগে , 
আর মেয়েটির চোখেমুখে ফুটে উঠেছে সদ্য 
অষ্টাদশী চাঁদের মায়া ।

প্রথম দর্শনেই বিদ্যুতের মত শিহরণ খেলে গেল
ছেলেটির সব শিরা-উপশিরায় ;
গুলিয়ে গেল তার মাথার ভিতর অনব্রত ঘুরতে
থাকা এলজেব্রা , ক্যালকুলাস , ইনটিগ্রেশন- এর
জটিল সব হিসাব , তাকিয়ে রইল তার দিকে ।
মৃদু হেসে মেয়েটি এসে বসলো বেঞ্চে ;
ছেলেটিও বসলো মেয়েটির ঠিক উল্টো দিকের
বেঞ্চটিতে ।

আলাপ হয়নি এখনো তাদের ;

তবু চোখের ইশারায় হেঁটে এল তারা
সীমাহীন নক্ষত্র পাড়া ;
আম , জাম , বট , অশ্বত্থ , হিজলের পাশ কাটিয়ে 
সবুজ মাঠের আলপথ ধরে রামধনুর রঙে নেয়ে
ফিরে এল শেষে মরাল-মরালীর দেশে ।


কোচিং ক্লাশ শেষ হল ;
ছেলেটি বাইরে এসে একা দাঁড়িয়ে রইল 
মেয়েটির অপেক্ষায় ।

ক্ষণিক বাদে মেয়েটি তার বান্ধবীদের সাথে 
বেরিয়ে এল ,
ছেলেটি ছুটে আসতে চাইলো কিন্তু সাহস পেল না ;
ছেলেটির দিকে মৃদু হেসে মেয়েটি চলে গেল ।

পিছু ডাকবে ভেবেও ডাকা আর হয়ে উঠলো না ;
অগত্যা কিছু না বলতে পারার অনুশোচনা নিয়ে
ফিরে এল ছেলেটি আপন নীড়ে ।