( সম্মানীয় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতা "অমলকান্তি" থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা )
অমলকান্তির রোদ্দুর হতে চাওয়ার গল্পটা
সবাই জানে |
আজ তাকে অন্ধকার ছাপাখানার সাধারণ কর্মী হিসাবেই
সবাই চেনে |
ক্লাস রুমের জানালা দিয়ে রোদ্দুরের দিকে তাকিয়ে
থাকার দিন ,
আজ অন্ধকার ছাপাখানার মৃদু আলোর মাঝে
হয়েছে বিলীন |
আজ সে বুঝে গেছে পার্থিব হয়ে অপার্থিব সুখকে
ছোঁয়া যায়না |
স্বপ্নের নীল সীমারেখায় বাস্তবের রুক্ষ পরি মেলে রাখে
তার ডানা |
তাই রোদ্দুর হওয়ার মত অসম্ভব কে সম্ভব করার কাজ
বাস্তবায়িত হয়নি |
তাই বলে কি তার স্বপ্ন স্মৃতির গহীনে থমকে গেছে ?
না তা যায়নি !
তাঁর অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো বাস্তবতার স্বাদ পায় আজ
নতুন মোড়কে |
সে রোদ্দুর হতে পারেনি ঠিকই , কিন্তু অসংখ্য জীবন
হারিয়ে যাওয়া রোদ্দুর ফিরে পায় তাঁর কালো কালির আঁচড়ের ডাকে |
অস্তমিত রবির রক্তিম আভা মেখে ঘরে ফেরার আগে
ফুটিয়ে দিয়ে যায় কারো জীবনের নতুন সুখের ভোর
এ ভুবন পরে |
সারাদিন রোদ্দুর না দেখতে পাওয়া মানুষটি ভুলে যায়
সব দুখ ঘরে ফিরে ,
যখন তাঁর ছোট্টো রোদ্দুর গুটি গুটি পায়ে এসে তাঁকে
জড়িয়ে ধরে |
সমস্ত অবসর ধরে তাঁর সে রোদ্দুরের আবদার মেটাতে
মেটাতে ব্যস্ত অমলকান্তি
খুঁজে পায় জীবনের রোদ্দুর ,ভুলে যায় প্রভাত-সাঁঝের
সকল ক্লান্তি |
তাঁর রোদ্দুর না হতে পারার অসমাপ্ত গল্প আজ আর
কাঁদায় না |
সমস্ত দিনের আলো ফিকে করে দেয় তাঁর ছোট্টো রোদ্দুরের
হাসি মুখ-খানা |