খুব সকালে ঘুম ভেঙেছে যেমনি ভাঙে রোজ,
পাশের বাড়ি লোকের মেলা একটু নিলাম খোঁজ।
কৌতুহলে এগিয়ে গেলাম দিয়ে গায়ের জোর,
কাকার ঘরে শিং কেটেছে মস্তবড় চোর।
কাকা-কাকী কাঁদছে বসে মাথায় দিয়ে হাত,
মরার মত ক্যান ঘুমালো এত্তোবড় রাত।
ক্লান্ত শরীর ঘুমিয়ে ছিলো সন্ধ্যা থেকে ভোর,
সুযোগ বুঝে ঢুকলো ঘরে সিঁদেল কাঁটা চোর।
কাসার বাঁটি, থালা, ঘটি হাজার খানেক টাকা,
বাক্সে ছিল চুড়ি- মালা সব করেছে ফাঁকা।
কাকীর ছিল লাল রঙা বেশ গোটা কয়েক শাড়ী,
মিষ্টি ভারি লাগতো যখন যেতো বাপের বাড়ি।
সবই চোরে গেলো নিয়ে কষ্ট মনে জমা,
চোরকে তিনি এজীবনে করবে না তো ক্ষমা।
সেই থেকে খুব ইচ্ছে মনে চোরটা কেমন হাঁটে,
কেমন মাথার শিংটা দিয়ে ঘরের মাটি কাটে।
কয়েক মাসের ব্যবধানে হঠাৎ করে শুনি,
নদীর ওপার চোর ধরেছে,দেখার সময় গুনি।
নৌকা করে আনলো পুলিশ হাতে দড়ি বাঁধা,
যেমনি করে রাখে বেঁধে পরেশ কাকার গাধা।
চোর দেখি না এতো মানুষ আমাদেরই মতো,
তবে কেন 'চোরটা' সবাই বলছে অবিরতো।
মানুষ হয়ে কাজ না করে চুরির উপর ভর,
নিঃস্ব করে সবটা নিয়ে ভরাও নিজের ঘর?