ও মিয়াভাই,আজকে তোমার নাক দুটো কি বন্ধ?
আসছে নাকি নাকে তোমার বিশ্রী দুর্গন্ধ?
নাক ধরেছি জোরে তবু থামছে না তো মোটে,
মুচির গায়ের গন্ধ আমার নাকেই কেন জোটে?
তোমার তো ভাই মেথর-মুচির পাশেই বসবাস,
আমি তাদের এড়িয়ে চলি মাসের পরে মাস।
ছোট জাতের লোকের সাথে চললে যাবে মান,
যতই বলি এসব তোমায় শুনবে কি আর কান।?
ও যে মুচি নোংরা গায়ে হাতে কালি বেশ,
গায়ের জামা হাজার তালি উসকো মাথার কেশ।
বলছি তোমায়, যাওগো সরে, জাত গেল যে আজ,
বউটা তোমার শুনলে এসব পড়বে মাথায় বাজ।
খানিক যেতেই হুচোট খেয়ে খুলল জুতাের তল,
পা দুটো আর চলছে নাতো চোখটা ছলোছল।
সবাই জানে ছিঁড়লে জুতাে যায়না হাঁটা আর,
এদিক-ওদিক তাকায়, ব্যথা বলবে এখন কার।
ছোট ভাইয়ের বিপদ দেখে এগিয়ে বড়ভাই,
হাতটা ধরে বলল, চলো মুচির কাছে যাই।
একটু আগে গন্ধ ছিল বললে তুমি যার,
সে জন এখন বিপদ থেকে করবে তোমায় পার।
যত্ন করে জুতাে সেলাই করল যখন তার,
মাথা নত করে ছোটোর মানতে হল হার।
ধমক দিয়ে বলল, ওরে মনটা বড়ো কর,
ছোটো পেশার মানুষ সুখে রাখে তোরই ঘর।
এরা আছে বলেই ভালো দিন কেটে যায় আজ,
আরাম করে যাচ্ছে তোমার দিন যাপনের কাজ।
ছোটো-বড়োর নয় ভেদাভেদ, কাজেই বাড়ে মান,
সকল পেশার মানুষ নিয়ে গাইব সুখের গান।।