তোমায় ছাড়িয়া কতোদিন গেলো কতো রাত হলো পার,
কেঁদেছি কতযে বালিশ ভিজিছে খোঁজ নিলো কেবা তার।
আসার আশায় বুক বাঁধি তার কেমনে বুঝাবো আজ,
বঁধুয়া বিরহে কপাল জুড়িয়া নামিছে দুখের ভাঁজ।
জানিনা সে কোন্ কাজের ছুতোয় এসেছিল এই গাঁয়,
হঠাৎ করিয়া আমার দু'চোখে তারই চোখ পড়ে যায়।
সেই থেকে হলো কত হাসাহাসি ভালোবাসাবাসি রোজ,
মনে মনে হলো মন বিনিময় কেউ তো রাখেনি খোঁজ।
এভাবে কেটেছে বেশ ক'টাদিন কপালে থাকেনি সুখ,
জানিতে পারিয়া বাবা আর মা কপালে আনিলো দুখ।
জানাজানি হলো, কানাকানি হলো বাঁধিছে হুলুস্থুল,
কালবোশেখি ছিঁটকে দিয়েছে দু'জনার দুটি কূল।
কতো দিন গেল পথপানে চেয়ে কতো যে কেটেছে রাত,
আসিবে বলিয়া সেই যে ছাড়িছে আমার দু'খানি হাত।
বলেছিল সে আসিব ফিরিয়া বসিও নদীর কূল,
মাথার কিরা রইল আমার মিছে নয় একচুল।
সেই থেকে রোজ ঘাটের কিনারে বসে থাকি দুই বেলা,
বঁধুয়া যদি আমারে না পেয়ে ফিরে যায় এ্কেলা।
আশে থেকে তারই কাটল কতো যে দিনের পরেতে রাত,
তার কথা ভেবে ঘুম গেছে সরে বালিশে হইনি কাত।
পাড়াপড়শির নিন্দার কাঁটা বিঁধেছে আমার গলে,
সব ব্যথাটুকু রোজ ধুয়েছি যে গঙ্গা নদীর জলে।
নতুন আশায় মন বেঁধেছি বঁধুয়ার আসার আশে,
স্বপন দেখেছি আসিবে সেজনা বসিবে আমার পাশে।
( অসমাপ্ত)