মুসলিম নই, হিন্দুও নই, নই জৈন-খৃষ্ট
মানুষের মাঝে জন্ম আমার; আমি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ
মানুষেরে চিনি, মানুষেরে পূজি, মানবতা মোর ধর্ম
আর্তের মাঝে বেচে থাকি; নেই দেশ-জাতি-কূল-বর্ণ।

মানুষের কথা কই;
গরীব-ধনী সাদা-কালোতে কোন ভেদাভেদ নাই
এক রক্ত বহে ধমনীতে; এক জলে বাঁচে প্রাণ
বর্ণ প্রভেদ করে যেই জন; তারে হানি বিষ-বাণ।

ভন্ডের দল; হও সাবধান!
কোথা আছে সব সমাধান
কোন মন্ত্রের ক্ষমতার বরে
মানুষ হয়ে যায় ভগবান?
কোন কিতাবে খোদা লিখেছেন
খুন-হত্যার শ্লোগান
ঐ শোন কোন মসীহ্ গাইছে
মানবতার জয়গান।

চেয়ে দেখ, কারা মানুষের মাঝে হয়েছেন যিশু-বোদ্ধ
কেমন করে মেষের রাখাল জ্ঞানে হয়েছেন সিদ্ধ
ইহাদের কেহ প্রাসাদ ছেড়েছে; এনেছে ঐশি বাণী
কেহবা মরুর প্রান্তে রচিছে; মানুষের জয়ধ্বনি
যুগ যুগ ধরে যারা এনেছে বাইবেল-বেদ-কোরআন
জগতের বুকে তারা পেয়েছে রাজাধিরাজের সম্মান।

ইহাদের নামে তোমারা করছ
জগতের বুকে হানাহানি
বাইবেল-বেদ-কোরআন হাতে
দিকে দিকে তুল রণধ্বনি।
ঐ মুসলিম, ঐ হিন্দু, ঐ বোদ্ধ-খৃষ্ট
কভু দেখেনি চক্ষু মেলিয়া তব ধর্ম গ্রন্থ;
উহারা জানেনা মানুষের তরে
কি লিখেছে গীতা-কোরআন;
কেন খোদা তার নাম রেখেছেন
আর-রহিম, আর-রহমান!

ঐ মূর্খরা, কেমন করে রাখবে খোদার সম্মান
কেমন করে আনবে উহারা মহা স্রষ্টার সন্ধান
স্রষ্টারে খুজে পেতে চাও যদি; সৃষ্টিরে কর অর্চন
সৃষ্টির পায়ে অঞ্জলি দিয়ে; স্রষ্টারে কর অর্জন
কৃশকায় যত শ্রমিক-মজুর আর যত ভুখা-আজারি
শত রূপ ধরে তারা যেন রাম-যীশু-অবতার খোদারি।

এ মোর কথা নয়;
লিখা আছে সব গীতা-বাইবেল-কোরআনে
কে আছ? আলো জ্বালবে মোদের হৃদয় মরু শশানে;
কে আনবে সেই দীক্ষা- মানুষ অমর হবে মরনে
নত শির হয়ে লুটাবে মানুষ; মানবতার চরণে।