তুমি মেঘ রাজ্যের রাজকুমারী;
তুমি সকাল বেলার জলরাশী ধারা।
তুমি পূর্ব গগনে কালো মেঘের পাহাড়।
তুমি আবসা আলোর সৃষ্টি,অনাবিল তিমির রাত্রি।
তুমি নীল গগনে রংধনুতে দূর দিগন্ত জুড়া,
তুমি আষাড় মাসের অজস্র জলধারা।
তুমি মিটাও সকল তৃষ্ণা বটে,
সৃষ্টি করো মেঘ রোদ্দুরের লোকচুরি খেলা।
তুমি দৃষ্টি জুড়াও পাড়ায় পাড়ায়,
যেথার ভরা জলরাশির ধারায় ধারায়।
হাঠাত্,
তুমি কালবৈশাখীর রূপে এসেছো কোন কলহাস্যে,
যেখানে হাজারো প্রাণের আর্তনাত বেসে আসে দূর দূরান্তে।
আমি নিম্ন কন্ঠে বলেছিলাম তোমায়,
"হে প্রাণগাত্রি,তুমি কি থাকো দিবারাত্রি?
তুমি কি অনন্য রূপসী?"
তুমি বজ্র কন্ঠে বলেছিলে আমায়,
"আমি কালবৈশাখী!আমি নই কোন আহামরি রূপসী।"
আমি বলেছিলাম,
"তুমি রূপসী,
তবে কালবৈশাখী তোমারই সৃষ্টি।
শত জলরাশি ধারা তোমার সৃষ্টি।
তাই বুঝি তোমার নাম "বৃষ্টি"।"