মাঝে মাঝে নিজেকে খুবই নিঃস্বঙ্গ লাগে!!
ঝরা পাতার মত,
দলছুট পাখির মত!
সমুদ্রের টেউয়ের মত ,
কোন একটা তীরে আচড়ে পড়তে ইচ্ছে করে!
পাহাড়ের মত অচল হয়ে পড়েছি,
নদীর স্রোতধারা আমার মাঝে নেই!
ঝরণাটাও যেন আমাকে উপহাস করে চলে!
কে আমি?
কোথায় ঠিকানা আমার?
নিজেই থমকে যাই!!
সময়ের স্রোতে নিজেকে মেলাতে ব্যর্থ হয়।
হয়ত এটাই আমার প্রাপ্য ছিল!
কিন্ত্ত হাজারও প্রশ্নের ভিড়ে,
অপরাধটা আবিষ্কার করতে পারিনা।
আমারও তো রাখালের বাঁশি শুনতে ইচ্ছা হয়!
ইচ্ছে করে ,প্রেয়সীর কমল হাতের স্পর্শ পেতে!
সমুদ্র সৈকতে পাশাপাশি হাঁটতে,
পূর্ণিমার রাতে জোস্নায় স্নান করতে।
পূর্ণিমা,সৈকত কিংবা প্রেয়সীর হাত
কোনটিই আমার জন্য নয়!!
এগুলো আমার কাছে আমাবস্যার চাঁদ!
প্রভাতের শিউলী আমাকে বিমহিত করে না,
নিশীতের নির্জনতায় গভীরভাবে কাছে টানে!!
এসবের জন্য অদৃষ্টকে দোষারোপ করা বোকামি।
এতে নিজের ব্যর্থতাকে অন্যের উপর চাপানো হবে।
নিজেকে সান্ত্বনা আমি দিই না,
দেবার সাহসও আমার নেই!
পাহাড়কে হাঁটার সান্ত্বনা দিয়ে লাভ কি?
এতে শুধু হাসির পাত্রই হওয়া যাবে!!