ক্রুদ্ধ মুখে কেঁদে কেঁদে মোর বোন আছিয়া বলে,
বলে অন্তরের নিগূঢ়ে বেদনার ফলে,
আমি মরিছি দুখে,
আমি মরিছি যাতনায়,মরিছি ধর্ষণে
তোরা করিস উল্লাস!!
দেশ কর তল্লাস,বের কর ধর্ষক,
ঘুরিয়ে দে হাত-পা,থামিয়ে দে নারকতা।
আমি মাত্র নপ্ত বৎসি মেয়ে,পাইনি-
তবু নরপশু থেকে নিস্তার,
বলিসনি কিছু তোরা,করিসনি বিচার
ভরে গেছে ধর্ষক দেশে,হায়!
করছে ক্রমাগত বংশ বিস্তার।
বিচার কর তোরা,ফাঁসি দে_ কিবা-
পিটিয়ে হলেও ধ্বংস কর ধর্ষকের থাবা।
যেভাবেই হোক তোরা বন্ধ কর ধর্ষণ_
আজ আমি মরে গিয়েও
অশ্রুজলে কেঁদে কেঁদে করি বৃষ্টি বর্ষণ।
তবুও তোরা করিস উল্লাস,
তোরা ভাই না মোর, নৃশংস
তোরা দেশের নশ্বর,জাতি ধ্বংসী-
ফাঁসি দে তারে,মোর আত্মা কর শান্ত।
আজ কাঁদে মোর মা,কাঁদে মোর বাবা
লেগেছে তার কন্যার দেহে
নরপশু,নরদানব,জানোয়ারের থাবা।
তোরা বিচার কর, ফাঁসি দে_
ধ্বংস কর জানোয়ারের বংশ।
বাড়াস নে দেশে আর মোর মত কন্যা
ঝড়াস নে শত মায়ের অশ্রুর বন্যা,
তোরা কোনো পথ ধর,
তোরা বিচার কর, ফাঁসি দে তারে_
সত্যিই ত ভাই,
মোরা লজ্জিত,মোরা ধ্বংসিত
ধর্ষক দেশে,জানোয়ারের বেশে
পেয়ে গেছে ঠাই।
পুরো বিশ্ব জানে বাংলাদেশ-
নদ-নদী,ফুল-ফল, প্রকৃতির রানী
রানীর রানীরা পায়না তবু শমী,
রানীর সম্মানে ক্রমাগত হানাহানি।
আজ মোর কলম বন্ধ হয়ে আসছে,
ফুরিয়ে যাচ্ছে আবেগ,
ক্ষুন্ন হচ্ছে ভাবাবেগ,
মোরে রেখে মোর বোন নির্যাতনে ভাসছে।
মোর হাত-পা আজ থরথর করে কাঁপছে-
মোর বোনকে ভেবে,
কেন ধরল নরপশু!
কেন মরল মোর বোন!
না ফাঁসিলে একে, সম্মুখে আরো ধর্ষক হাকছে।