কাঁদিসনে রে হে মোর সোহাগের ভ্রাতৃ!
করিসনে মন ক্ষুন্ন,
যাইতে ত হবেই মোরে
শুধুই না মোরে,
যাইতে হবে সর্ব দুহির বরের নবপুরে
ছাড়িয়া তার ভ্রাতৃ-বহিন,পিতৃ আর মাতৃ।
কাঁদিয়া কাঁদিয়া মোর বহিন বলে,
দেখে যেন মনে হয় বেদনার ছলে
কাঁদিছে আর বলিছে,
এ যে ক্ষুদার অমহনীয় নীতি।
বলি আমি,
সহিতে পারিব না আর্তের ধৃতি
থেকে যা তুই ভেদ করিয়া ক্ষুদার রীতি।

মাতৃর চোখে লোচন ফুলানো কান্না
পিতৃর বোকে দীর্ঘ শ্বাসের বন্যা
ভ্রাতা,ভগিনীর বুকফাটা আর্তি রাখি
যাস নে রে তুই পতির পুরে চলি।
ফাঁকা আবাস,ফাঁকা গেহ যেন জনশুন্য
বহু মানব থাকিয়াও আজ জনশুন্য ঘর
নির্জন হলো বাড়ি শুধুই অভাবে তোর।

যুগল ভেঙ্গে গেলি ছোট বোনকে রেখে
একসাথে না পাইয়া আজ,
কাঁদিয়া কাঁদিয়া যেন তোরি গল্প লেখে।
প্রত্যহ প্রভাত,বিকেল,প্রতি ক্ষনে বোধ হয়-
তোর আহ্লাদ মাখা মুখের অভাব
মোদের প্রাণে কতটুকু তোর প্রভাব।

তোরে না পাইয়া আজ,
এ আবাসের ভোরের বিহগ কাঁদে
নিশির জোনাকি তার প্রভা নিভিয়ে-
অশ্রু জলে কেঁদে কেঁদে ভাসে।
ভুলিতে পারি না তোর সোহাগী স্নেহ
সর্বদাই মনে পড়ে তোর কথা এ বিরলে
তোর অভাব সাধিতে কি পারে আর কেহ!!